Site icon Jamuna Television

দক্ষিণ কোরিয়ায় থামছেই না কুকুরের মাংস নিয়ে বিতর্ক

দক্ষিণ কোরিয়া আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে ‘কুকুরের মাংস খাওয়া’ নিয়ে। সম্প্রতি কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করে আইন পাস করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। এক পক্ষ একে সাধুবাদ জানালেও; আরেক পক্ষ ফেটে পড়ছে তীব্র ক্ষোভে। পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত নিয়ে এখন কুকুরের মাংস খাওয়াই যেন হয়ে উঠেছে দেশটির প্রধান আলোচ্য বিষয়।

বিশাল বিশাল খামারে পালন করা হয় কুকুর। তবে পোষ্য হিসেবে বিক্রি নয়, বরং দেশের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয়
কুকুরের মাংসের যোগান দেয় এসব খামার।

দক্ষিণ কোরিয়ার শত বছরের পুরোনো রীতি ‘কুকুরের মাংস’ খাওয়া। কোরীয় যুদ্ধের পর বেশ অভাব-অনটনে পড়েছিল দেশটি। সেসময় গরুর দাম ছিল চড়া; যা নাগালের বাইরে ছিলো অধিকাংশ পরিবারের। তখন থেকে প্রোটিনের সহজ বিকল্প হিসেবে খাদ্য তালিকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে কুকুরের মাংস।

তবে কোরীয় উপদ্বীপের পুরোনো সেই রীতি নিষিদ্ধ করে চলতি বছর আইন পাস হয়। ২০২৭ সালের মধ্যে মাংসের জন্য কুকুরের প্রজনন, বিতরণ এবং বিক্রি নিষিদ্ধ করতে দেয়া হয় কঠোর নির্দেশনা; যা নিয়ে তোলপাড় চলছে দেশজুড়ে।

কুকুরের মাংসকে ঘিরে দেশটিতে গড়ে উঠেছে ছোটো-বড় বিভিন্ন ব্যবসা। দেশটিতে এখন রয়েছে ৩ হাজার খামার। রয়েছে কয়েকশ’ রেস্তরাঁ; যাদের প্রধান পণ্যই কুকুরের মাংসের বিভিন্ন আইটেম। তাই এই আইনের তীব্র সমালোচনা করছেন তারা।

তবে নতুন আইনের বিষয়ে জেনে বেশ খুশি দেশটির বেশিরভাগ মানুষ। তরুণ কোরিয়ানরা এখন কুকুরকে সঙ্গী হিসেবেই বেশি পছন্দ করেন, খাবার হিসেবে নয়।

জরিপে দেখা যায়, গেলো এক বছরে দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের মাংস খেয়েছে শুধু ৮ শতাংশ মানুষ। যা ২০১৫ সালেও ছিলো ২৭ শতাংশ। যাদের বেশিরভাগই প্রবীন। অন্যদিকে তরুণরা মনে করেন, নতুন আইনের মাধ্যমে দুর্নামুক্ত হলো দক্ষিণ কোরিয়া।

এটিএম/

Exit mobile version