Site icon Jamuna Television

উত্তাল লোহিত সাগর, বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্য সংকট

ছবি: আনাদোলু এজেন্সি

বাণিজ্যিক জাহাজে হুতি বিদ্রোহীদের হামলার জবাবে ইয়েমেনি ভূখণ্ডে একাধিক হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। তারই জবাব দিতে রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস লাবুনকে লক্ষ্য করে ক্রুজ মিসাইল ছোড়ে ইয়েমেনের বিদ্রোহীরা। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইরত শক্তিগুলো বলছে, সর্বস্ব উজাড় করে ইহুদিবাদী শক্তি এবং এর মিত্রদের ওপর হামলা অব্যাহত থাকবে। খবর আল জাজিরার।

হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, আমেরিকা যদি মনে করে, হুতিরা ফিলিস্তিনকে সহায়তা করা বন্ধ করে দেবে, তাহলে পুরোপুরি ভুল করছে। লোহিত সাগরের পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে তাদের কারণে। মার্কিন হামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সেখানে সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে।

এ অবস্থায় পাল্টা জবাবে ব্রিটেন বলছে, কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না সন্ত্রাসী আচরণ। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন বলেন, আমরা একের পর হুঁশিয়ারি দিয়েছি। সতর্ক করেছি লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের গুরুত্ব নিয়ে। তারপরও তারা হামলা অব্যাহত রেখেছে। আমরা ইরানের সাথে কথা বলেছি। তাদের জানিয়েছি, হুতিদের এ ধরনের পদক্ষেপ পুরোপুরি বেআইনি। এ ধরনের পদক্ষেপ কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না বলে জানান তিনি।

সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত, তখন মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সমাধান খুঁজতে মিসর সফরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। বিবদমান পক্ষগুলোকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে সংকট সমাধানে যে ধরনের কার্যকর সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ছিল, তা নেয়া হয়নি। উল্টো এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যেটাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে। এর পাশাপাশি জিম্মিদের মুক্তি এবং সেখানে ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে।

মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামাহ শুকরি বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে হোক কিংবা দুর্ঘটনাবশত, লোহিত সাগরের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। সেখানে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতি পুরো অঞ্চলকে বিপদের মুখে ফেলেছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) প্রথমবারের মতো ইয়েমেনি ভূখণ্ডে হামলা চালায় মার্কিন জোট। লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হুতি বিদ্রোহীদের হামলার প্রেক্ষিতে এই অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলো ইয়েমেনে হামলার নিন্দা জানায়।

/এএম

Exit mobile version