Site icon Jamuna Television

প্রতিদানে ভালোবাসা দেবেন, শুধু ভালোবাসা…

মুরশিদুজ্জামান হিমু ⚫

মাঝে মাঝে ভাবি, দর্শক-পাঠকদের কী দেয়ার আছে আমাদের? একটু খবরই তো জানতে চান তারা। চান সংবাদটা বস্তুনিষ্ঠ-নিরপেক্ষ হোক। চান, দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচন করি। অনিয়ম হলে তা তো বলিই। ভুক্তভোগীর কথা বলি, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কথা বলি, এই তো। আমরা করছিও তা। সবসময় চেষ্টা করেছি, সত্যের পথে থাকতে, নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করতে। স্বাধীনতার সপক্ষে কথা বলতে।

এটা করতে গিয়ে অবশ্য কম হ্যাপা পোহাতে হয়নি। নানা বাধা এসেছে। পথে পথে ঠেকতে হয়েছে। হুমকি এসেছে, হামলা হয়েছে। কিন্তু তাতে কী? যে লক্ষ্যে এগিয়ে চলছি আমরা, তাতে যত বাধাই আসুক না কেন, পিছপা হব না। কারণ, লক্ষ্যে পৌঁছাব বলে পণ করেছি। কোনো কিছুই আমাদের টলাতে পারেনি, পারবে না।

এই যে, ‘আমি-আমরা’ বলছি। আমরাটা কে? আমরা যমুনা টেলিভিশন। হ্যাঁ, সেই যমুনা, যে সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত। এই সেই যমুনা, যেটির ইউটিউব চ্যানেল বিশ্বে সংবাদভিত্তিক চ্যানেলগুলোর মধ্যে শীর্ষে, অর্থাৎ প্রথমে। এই সেই যমুনা, যে সবার মনের কথা বলে, সাধারণ মানুষের কথা বলে।

আমরা জানি, দর্শক-শুভানুধ্যায়ীদের আমাদের কাছে অনেক চাওয়া। তাই বলে কী দর্শকদের কাছে আমাদের চাওয়ার কিছু নেই?

অবশ্যই আছে। আমরা চাই ভালোবাসা, আরও ভালোবাসা। সবাই ভালোবাসা দিয়ে আমাদের ভরিয়ে ফেলুক। আমরা আরও উজ্জীবিত হই। আরও এগিয়ে যাই।

লক্ষ্যটাকে প্রতিনিয়ত দূরে ঠেলে দিতে চাই আমরা। আবার সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চাই ধীর পায়ে, সাবধানে। কারণ পা হড়কালেই যে বিপদ, তা-ও অজানা নয় আমাদের। তাই সঠিক পথে থেকে ধীর-স্থির এগিয়ে যেতে চাই আমরা। পবিত্র মুখোপাধ্যায়ের এ কথাটি যে সবসময় মনে থাকে আমাদের, ‘যে যাবে অনেক দূর, তাকে বলি ধীর পায়ে হাঁটো’।

এর আগে, সোশ্যাল ব্লেডের ইউটিউব র‍্যাঙ্কিংয়ে যখন দুইয়ে এলাম আমরা, তখনও অনেকের শুভাশিষ পেয়েছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভেসেছে শুভকামনার জোয়ারে। একের পর এক সফলতার পালক যুক্ত হওয়ায় আমাদের প্রতি দর্শকদের আগ্রহও দিন দিন বাড়ছে। তা আমরা বুঝি, অনুভব করি।

আমরা চাই, যমুনা নিউজ নিয়ে আলোচনা হোক কফির কাপে। ড্রইং রুমের আড্ডায় উঠে আসুক যমুনার নাম। অফিসে-বাসে-ট্রেনে সব জায়গায় থাকুক যমুনা। আলোচনা হোক, হোক সমালোচনাও। আমাদের ভালো কাজগুলোকে যেমন অভিবাদন জানাবেন, তেমনি ধরিয়ে দেবেন ভুল-ত্রুটিগুলোও। এত চাওয়ারও কারণ, ওই একটাই। আমরা থামতে চাই না। ক্লান্ত হতে চাই না।

যমুনার কর্মীদের মনে বাজতে থাকে, ‘ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো প্রভু…’। আমরা একটা উদ্যোমী টিম। এই উদ্যোম কাজে লাগিয়েই লক্ষ্য-কোটি মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই আমরা।

/এমএন

Exit mobile version