Site icon Jamuna Television

অযোধ্যায় আশ্বাসে ভরসা পাচ্ছেন না স্থানীয় মুসলিমরা

ছবি: রয়টার্স

পুরোনো দরগার দেয়ালে একটি নোটিশ টাঙানো। বলা হচ্ছে, ‘মসজিদ মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ’ নামে তৈরি হবে মুসলিমদের প্রার্থনালয়। দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর গত হয়েছে ৪ বছর। তবুও গতি পায়নি নির্মাণ কাজ।

স্থানীয় এক মুসলিম বলেন, মসজিদ তৈরি হচ্ছে না কেন, জানি না। জমি বরাদ্দের চার বছর হলো। তবে দেখতেই পাচ্ছেন (বরাদ্দের জায়গা দেখিয়ে), কোনো নির্মাণ কাজের চিহ্ন নেই। মন্দির তৈরি হচ্ছে, তাতে মুসলিমদের কোনো সমস্যা নেই।

জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে উত্তর প্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। মসজিদ প্রকল্পের দায়িত্ব ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের (আইআইসিএফ)। স্থানীয় মুসলিমরা এখন জানতে চান, কবে কীভাবে শুরু হবে এ কাজ?

স্থানীয় আরেকজন বলেন, সরাসরি বললে… এই সরকার রাম মন্দিরের বিষয়েই নজর ও গুরুত্ব বেশি দিচ্ছে। আর যেহেতু নির্বাচন কাছাকাছি, সরকার ভোট পাওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেবে।

আইআইসিএফ জানিয়েছে, আগামী মে মাসে শুরু হতে পারে মসজিদ তৈরির কাজ। সময় লাগতে পারে তিন থেকে চার বছর। এই আশ্বাসে ভরসা পাচ্ছেন না স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা বলছেন, আগেও কয়েক দফায় পিছিয়েছে এমন ডেডলাইন। তবে কোনো ধরনের বিবাদ বা উত্তেজনা চান না তারা।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর হাজি আসাদ আহমেদ বলেন, সুপ্রিম কোর্ট মন্দির-মসজিদ ইস্যুতে রায় দিয়েছিলেন। সেই রায়ের প্রতি সবাই সম্মান দেখিয়েছেন। কেউই ১৯৯২ এর মতো পরিস্থিতি চায় না। যা ভীতি ও আতঙ্ক তৈরি করবে।

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ভাঙচুর ঘিরে দাঙ্গা হয়। এতে প্রাণ হারান ২ হাজার মানুষ। ২০১৯ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অযোদ্ধায় হিন্দুদের মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয়। দীর্ঘদিনের এক মামলার আইনি লড়াই শেষে আদালত ওই স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেন। পাশাপাশি একই শহরের আরেকটি এলাকায় মুসলমানদের মসজিদ নির্মাণের জন্য জায়গা দেয়ার নির্দেশ দেন। ২০২০ সালে শুরু হওয়া মন্দিরের নির্মাণ কাজ নিয়ে দেশটিতে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল।

আজ সোমবার (২২ জানুয়ারি) অযোধ্যায় মহা ধুমধাম করে অনুষ্ঠিত হয়েছে রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ নামের এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

/এএম

Exit mobile version