Site icon Jamuna Television

স্নাতক শেষে জনসেবার সিদ্ধান্ত জাপানের রাজকন্যার

সম্রাট নারুহিতো এবং সম্রাজ্ঞী মাসাকোর একমাত্র সন্তান রাজকুমারী আইকো। ছবি: বিবিসি।

৫ ডিসেম্বর, ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের কথা অনেকেরই মনে আছে নিশ্চয়ই! রাউন্ড অব সিক্সটিনের একটি ম্যাচ। জাপান ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে। সেই ম্যাচে জাপান হেরে গিয়াছিল। তবে খেলায় হেরেও, যেন সারা পৃথিবীর মানুষের মন জয় করে নিয়েছিল তারা। এমনকি সুন্দর পৃথিবী গড়তে অদ্ভুত এক দৃষ্টান্তও রাখতে সক্ষম হয়েছিল জাপানিরা। খেলা শেষে স্টেডিয়ামের সকল আবর্জনা পরিস্কার করে তারা। এর আগে, ২০১৮ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপেও ঠিক একই কাজ করেছিল তারা।

জাপানিদের সাথে বাংলা ব্যাকরণের ‘এক কথায় প্রকাশ’ মিলালে খুব একটা মন্দ হবে না! অনেকের মধ্যে একজন কিংবা অন্যতম জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত তারা। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে, জাপানিদের অনেক সময়ে দেখা মিলে অদ্ভুত সব কাণ্ড করতে। এবার এই তালিকায় নতুনভাবে যুক্ত হয়েছেন জাপানের রাজকন্যা আইকো। শিগগিরই স্নাতক পাশ করতে যাচ্ছেন জাপানের সম্রাট নারুহিতোর একমাত্র সন্তান। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার আগেই ঘোষণা দিলেন, স্নাতক শেষে, আগামী এপ্রিল থেকে জাপানিজ রেড ক্রস সোসাইটিতে কাজ শুরু করবেন। তার এমন ঘোষণায় রীতিমত অবাক হয়েছেন অনেকে।

যদিও নতুন চাকরিতে তার ভূমিকার বিশদ বিবরণ অস্পষ্ট। তবে রাজকীয় পরিবারের সাথে সরকারি দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন তিনি। সম্রাট নারুহিতো এবং সম্রাজ্ঞী মাসাকোর একমাত্র মেয়ে আইকো। তবে তিনি জাপানের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী নন। দেশটির আইন অনুসারে কেবল পুরুষেরাই সিংহাসনে বসতে পারেন।

এক বিবৃতিতে রাজকুমারী আইকো বলেন, রেড ক্রসে কাজ করার আগ্রহ সর্বদা ছিল। আশা করছি দারুণ কিছু হবে।

এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে, রাজকুমারী আইকো তার পিতামাতার সাথে রেড ক্রস সোসাইটি পরিদর্শনে যান। উদ্দেশ্য একটাই। ১৯২৩ সালে টোকিওতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরে ত্রাণ কার্যক্রমের একটি প্রদর্শনী দেখার জন্য।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, রাজকুমারী আইকো জাপানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার এবং বেঁচে যাওয়া মানুষদের প্রতি তার সহানুভূতি প্রকাশ করেন। তিনি বর্তমানে গাকুশুইন ইউনিভার্সিটির জাপানী ভাষা ও সাহিত্যে বিভাগে শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত রয়েছেন।

\এআই/

Exit mobile version