Site icon Jamuna Television

যমুনা টিভিতে সংবাদ প্রচারের পর দুর্নীতির দায়ে ২ কাস্টমস কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার

অভিযুক্ত দুই কাস্টমস ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান ফারুক ও শুল্ক গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর সজিব পাল।

আখাউড়া প্রতিনিধি :

আখাউড়ার দুই কাস্টমস কর্মকর্তার অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে যমুনা টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের পর সেই কাস্টমস ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান ফারুক ও শুল্ক গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর সজিব পালকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কুমিল্লা সদর দফতর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট অতিরিক্ত কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান সরদার স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদেরকে ক্লোজড ও সংযুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে এক আদেশের মাধ্যমে আসাদুজ্জামান ফারুককে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সদর দফতর কুমিল্লা জনপ্রশাসন শাখায় সংযুক্ত করা হয়। অপরদিকে শুল্ক গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর সজিব পালকে ঢাকায় তার সংশ্লিষ্ট দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। অভিযোগ ছিল, এই দুই কর্মকর্তা এ পথে যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের কাছ থেকে নানা উপায়ে টাকা আদায় করতেন। টাকা না দিলে করা হতো হয়রানি।

ক্লোজড হওয়া দুই কাস্টমস ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান ফারুক ও শুল্ক গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর সজিব পালের বিরুদ্ধে এক পাসপোর্টধারী যাত্রীকে মাদক চোরাচালানের প্রস্তাব দেয়া হয়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও আসে যমুনা টেলিভিশনের হাতে। পরে ওই দুই কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে যমুনা টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রচার করা হয়।

সংবাদ প্রচারের পর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে নড়েচড়ে বসে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। অবশেষে আজ বিকেলে এক আদেশের মাধ্যমে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট দফতরে সংযুক্ত (ক্লোজ) করা হয়েছে। আখাউড়া কাস্টমস হাউজের দুর্নীতিবাজ এই দুই কর্মকর্তার ক্লোজের খবরে স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলেছেন এ পথে যাতায়াতকারী সাধারণ পাসপোর্টধারী যাত্রীরা।

/এমএইচ

Exit mobile version