Site icon Jamuna Television

বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কমছে, দুশ্চিন্তা কাটছে: আইএমএফ

ঋণ নিয়ে আলোচনা শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশে আনাগোনা বেড়েছে আইএমএফ’র বড় কর্তাদের। শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া, ভর্তুকি কমানো, বাজারভিত্তিক সুদহারসহ নানা কঠিন শর্ত দিচ্ছে সংস্থাটি। কথা আছে ৪২ মাসে মিলবে ৭ কিস্তি। শর্ত পরিপালন করে ইতোমধ্যে দুই কিস্তি আদায় করেছে বাংলাদেশ। এবার সংস্থাটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন জানালেন, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কমছে। তবে তবে এই গতি ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মত তার।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে আইএমএফের ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন। আয়োজনে রিজিওনাল আউটলুক প্রতিবেদনের নানা খুঁটিনাটি তুলে ধরে তিনি জানান, এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে চীন ও ভারতের অর্থনীতি। দুশ্চিন্তা কাটছে বাংলাদেশকে ঘিরেও।

কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন জানান, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি সন্তোষজনক। তবে মুদ্রা তহবিলের শর্ত কতোটা পরিপালন হচ্ছে, তা যাচাই হবে মার্চে।

তিনি বলেন, দুই মাসে আগে বাংলাদেশের অর্থনীতির যে পর্যালোচনা আমরা করেছি তা সন্তোষজনক ছিল। জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশটিতে হঠাৎ ব্যয় বেড়ে গিয়েছিল। ভাটা পড়েছিল রাজস্ব আহরণে। কিন্তু এখন নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। আমার ধারণা, বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো করবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নানা শর্ত পূরণ করে আইএমএফের ঋণ পাচ্ছে। এর অন্যতম মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা। অন্যদিকে আর্থিক খাতে এমন কিছু সংস্কার আনা যা দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখবে। কঠোর মুদ্রানীতি প্রণয়নসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা দেখছি মূল্যস্ফীতিও কমছে। তবে এটি ধরে রাখাই মূল চ্যালেঞ্জ।

আগের ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশ সাড়ে ৭ শতাংশ সুদে বন্ড ইস্যু করছে। এই সিদ্ধান্ত যৌক্তিক কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামনে আর কি বিকল্প ছিল? আইএমএফের ঋণের শর্তের কারণেই বাংলাদেশকে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে, পাশাপাশি অযৌক্তিক ব্যয় কমাতে হবে। এতটুকু বলতে পারি, অর্থ প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশকে গতানুগতিক ধারণা বদলে নতুন কিছু ভাবতে হবে।

ঋণের ৩য় কিস্তি ছাড়ের আগে মার্চে বাংলাদেশের অর্থনীতির নানা দিক খতিয়ে দেখবে আইএমএফ। এমনটাও জানান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের এই আঞ্চলিক পরিচালক।

এটিএম

Exit mobile version