Site icon Jamuna Television

যুক্তরাষ্ট্র-ইরান উত্তেজনা

ছবি: রয়টার্স।

সিরিয়া-ইরাকে থাকা ইরানি সামরিক অবস্থানে হামলার অনুমোদন দিলো যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানান, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সক্ষমতা ধ্বংস করাই হবে মূল লক্ষ্য। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জর্ডানের সিরিয়া সীমান্ত এলাকায় গেলো রোববার ড্রোন হামলায় নিহত হন ৩ মার্কিন সেনা; আহত হন কমপক্ষে ৩৫ জন। ওই ঘটনার পরই, তুঙ্গে তেহরান-ওয়াশিংটন উত্তেজনার পারদ। সেই রেষ না কাটতেই, পাল্টা হামলার অনুমোদন দিলো মার্কিন প্রশাসন।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের শীর্ষ কর্তাদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, প্রাথমিকভাবে ইরাক-সিরিয়ায় থাকা ইরানি অবস্থানে চালানো হবে অভিযান। এক্ষেত্রে, সামরিক বাহিনীর স্থাপনার পাশাপাশি বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর অবস্থানেও চালানো হবে হামলা। তবে, কখন ও কিভাবে এই হামলা হবে সে বিষয় রাখা হয়েছে গোপন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, এখন সময় এসেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সক্ষমতা ধ্বংস করে দেয়ার। আমরা আগের তুলনায় অনেক বেশি সামরিক কার্যকারিতা দেখাবো। তারা যেমন হামলা চালিয়েছে, দিবো পাল্টা জবাব। এটাকে আগ্রাসন বলার সুযোগ নেই।

এদিকে, মার্কিন এমন সিদ্ধান্তে এসেছে ইরানের পাল্টা হুঁশিয়ারি। বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরণের পদক্ষেপে সংঘাত আরও ছড়াবে।

গত রোববারে জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরাকের ইসলামিক রেসিস্ট্যান্স নামের একটি গোষ্ঠী। তাদের অর্থায়ন ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী। তবে সাম্প্রতিক ওই হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নাকচ করেছে তেহরান।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় চলছে ইসরায়েলের আগ্রাসন। এরপরই, ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইরানপন্থী বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থাপনা ও জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। ওই হামলার জবাবে ইয়েমেনে বিভিন্ন হুতি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে, পশ্চিমা জোট।

\এআই/

Exit mobile version