Site icon Jamuna Television

৪৪ হাজার কোটা খালি রেখেই শেষ হজ নিবন্ধন

চতুর্থবারের মতো নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধি করেও পূরণ হয়নি হজের নির্ধারিত কোটা। সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার সুযোগ ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ২৬০ জন। আর বেসরকারিভাবে করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫। সবমিলিয়ে নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ১৫৫ জন। ফলে সৌদির দেয়া কোটার মধ্যে ৪৪ হাজারের বেশি কোটা খালি রয়ে গেছে।

চতুর্থ দফায় বাড়িয়ে নিবন্ধনের শেষ সময় ছিল মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত। এর আগে গত বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয় হজের নিবন্ধন।

তৃতীয় ধাপে নিবন্ধনের পর গত শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) চতুর্থ ও শেষবারের মতো নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। তখনও কোটা পূরণ হতে ৪৭ হাজার নিবন্ধন বাকি ছিল। চতুর্থ ধাপ শেষে এখনও বাকি রয়েছে ৪৪ হাজারেরও বেশি কোটা।

ফলে সৌদি আরবকে ফেরত দিতে হবে অবশিষ্ট কোটা। তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, শেষদিনে অনেকেই নিবন্ধন করেছেন। কিন্তু তাদের পেমেন্ট পেন্ডিংয়ে রয়েছে। এ সংখ্যা যোগ করলে আরও দুই হাজারের মতো কমতে পারে। হিসেব অনুযায়ী, তবুও প্রায় ৪০ হাজারের বেশি কোটা সৌদিকে ফেরত দিতেই হচ্ছে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে।

প্রসঙ্গত, এবার হজে যেতে গত নভেম্বরে দুইটি প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। সাধারণ প্যাকেজে হজ করতে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা এবং বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা ব্যয় ধরা হয়। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সাধারণ প্যাকেজ ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং বিশেষ প্যাকেজ ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা নির্ধারণ করে হাব।

/এমএইচ

Exit mobile version