Site icon Jamuna Television

হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া ইমরান ফিরছেন সিনেমায়

২০০৮ সালে বলিউডে অভিষেক হয় ইমরান খানের। সুদর্শন ও মিষ্টি হাসির এই নায়ক জনপ্রিয়তাও পান বি টাউনে। সুপারস্টার আমির খানের ভাগ্নে তিনি। ভালো কাজের মাধ্যমে হিন্দি সিনেমার দর্শকদের মনে জায়গা করার পাশাপাশি বেশ আস্থার নাম হয়ে উঠেছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে।

শুরুতে বক্স অফিসে ব্যবসাসফল হতে থাকে তার সিনেমাগুলো। ‘জানে তু ইয়া জানে না’ সিনেমায় জেলেনিয়া ডি’সুজার বিপরীতে অভিনয় করা সেই ইমরানের শুরুটা হয়েছিল দারুণভাবে। পরে অভিনয় করেছিলেন ‘আই হেট লাভ স্টোরিস’, ‘দিল্লি বেলি’, ‘লাক’, ‘কিডন্যাপ’, ‘বোম্বে টকিজ’ এর মতো ছবিতে। তবে সময়ের সাথে কোথায় যেন হারিয়ে গেলেন তিনি।

জানা গেছে, হঠাৎই নিজেকে বলিউড থেকে গুটিয়ে নেন ইমরান। কাজ করা ছেড়ে দেন। ধীরে ধীরে অবসাদ পেয়ে বসে তাকে। বিচ্ছেদ হয় স্ত্রী অবন্তিকার সঙ্গেও। ব্যক্তিগত ও পেশাদার উভয় জায়গাতেই ইমরান যেনো মুখ থুবড়ে পড়েন।

ইমরান বলেছিলেন, তার চেহারা নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে নাকি বুলিং করা হত। কেউ কেউ বলতেন, তার নাকি নায়কোচিত লুকও নেই। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে একটি পোস্টও শেয়ার করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, নিজেকে ফিরে পেতে কী পরিশ্রমই না করেছিলেন তিনি। খাদ্যাভাস পরিবর্তন ও পেশিবহুল শরীর তৈরির জন্য ‘অ্যানবলিক স্টেরয়েড’ও নেন তিনি।

২০১১ সালে ‘মেরে ব্রাদার কি দুলহান’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর ইমরান খানের আরও পাঁচটি ছবি মুক্তি পায়। যেগুলো সবই বক্স অফিসে সুপার ফ্লপ ছিল। ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বই দোবারা’, ‘এক মে অওর এক তু’ , ‘গোরি তেরে প্যায়ার মে’, ‘মাতরু কি বিজলি কা মান্ডোলা’ তেমনভাবে মন জয় করতে পারেনি দর্শকের। প্রযোজকরাও আস্থা হারাতে থাকেন তার ওপর থেকে।

তবে সবকিছু পাশ কাটিয়ে আবারও সিনেমায় ফিরতে প্রস্তুত এই অভিনেতা। কাজ করতে চান ভালো গল্প ও কনটেন্টে। সবশেষ ২০১৫ সালে কঙ্গনা রানাউতের বিপরীতে ‘কাট্টি বাট্টি’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল তাকে।

/এমএইচআর

Exit mobile version