Site icon Jamuna Television

বিলাসী জীবনের ব্যয় মেটাতে ডাকাতি করতেন তারা

বাঁয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ও ডানে গ্রেফতার হওয়া ৫ ডাকাত।

রাজধানীর রামপুরার একটি বাসায় ডাকাতির ঘটনায় স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন রমজান (৩৯), আরমান (২৭), বিল্লাল (৪৩), রাসেল (২৫) ও সালমান (৩০)।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রামপুরা, কুমিল্লা ও নারায়নগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৫০ হাজার টাকা, ৩টি চাপাতি ও ১টি হাইড্রোলিক স্টিলকাটার (গ্যাস কাটার) উদ্ধার করা হয়। বিলাসবহুল জীবন কাটাতে তারা এ পথে পাঁ বাড়িয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।

গত ১ ফ্রেব্রুয়ারি রাতের শেষভাগে পূর্ব রামপুরার একটি বাসা থেকে ডাকাতি করে চক্রটি স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, ওই বাসার বাসিন্দারা তখন ঘুমে ছিলেন। ভোর ৪ টার দিকে হঠাৎ শব্দ পেয়ে ঘুম ভাঙে একজনের। বাসায় চুরি হচ্ছে বুঝতে পেরে ডাকাতদের প্রতিরোধ করতে যায় সে। কিন্তু চক্রের সদস্যরা ধারালো চাপাতির মুখে তাকে জিম্মি করে বাসার সবার হাত-পা বেঁধে ফেলে। জীবননাশের হুমকি দিয়ে লুটে নেয় ৩০ ভরি স্বর্ণ, নগদ ১ লাখ টাকা ও একটি ল্যাপটপ। ডাকাতরা চলে যাওয়ার সময় বাসার বাসিন্দাদের হাত-পা বাধা অবস্থায় ফেলে রেখে কাটা গ্রিল দিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় প্রথমে রামপুরা থেকে রমজানকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে নিজ বাড়ি কুমিল্লা মুরাদনগর থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল পরিকল্পনাকারী আরমানকে। পরে দুজনের দেয়া তথ্যে অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের মিজিমিজি এলাকা থেকে গলিত স্বর্ণসহ গ্রেফতার করা হয় স্বর্ণকার বিল্লাল হোসেনকে। আর রাসেলকে গ্রেফতার করা হয় রংপুর জেলা থেকে। আর চক্রের ভাড়াটে সদস্য সালমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে উত্তর বাড্ডার সাতারকুল থেকে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের খিলগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রাশেদুল ইসলাম জানান, বিল্লাল হোসেনসহ চক্রের প্রতিটি সদস্যের রয়েছে নিজস্ব নেটওয়ার্ক। প্রয়োজন অনুযায়ী তারা সময়ে সময়ে লোক ভাড়া করে। ডাকাতি-দস্যুতায় প্রাপ্ত মালামাল নিরাপদে বিক্রি করে দেবার জন্যও তারা এসব লোকদের ব্যবহার করে।

এ ঘটনার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানায়, গ্রেফতারকৃত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের দায়ে একাধিক মামলা রয়েছে।

/এমএন

Exit mobile version