Site icon Jamuna Television

মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ে কমান্ডার আল মঈনের দুটি বই

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। পেশাগত জীবনে চৌকস এ কর্মকর্তা লড়েছেন সমাজের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনের কঠিন লড়াইয়ে। বিভিন্ন দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক হিসেবে। মাদক সেবনকারী ও কারবারিদের সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাচাই ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার যে অভিজ্ঞতার সঞ্চার হয়েছে, সেটিই তিনি বইয়ের ক্যানভাসে তুলেছেন। সচেতনতা সৃষ্টির জন্য নিজ হাতে তুলে নিয়েছেন কলম।

‘মাদকের সাতসতেরো’ বইটিতে মাদক সেবনের ক্ষতিকর প্রভাব এবং মাদক কারবারিদের ভয়ানক ও অন্ধকার জগতের কথা তুলে ধরেছেন লেখক। দিয়েছেন সমাজ থেকে মাদককে নির্মূল করার রূপরেখা।

মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও কেবলমাত্র ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মাদকের বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ার মাদক চোরাচালানের ৩টি প্রধান রুট গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল, গোল্ডেন ক্রিসেন্ট ও গোল্ডেন ওয়েজের অবস্থান আমাদের দেশে।

ঠিক এ কারণেই আন্তর্জাতিক মাদক কারবারিরাও বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করে। এজন্য বাহক হিসেবে তারা ব্যবহার করে দরিদ্র নারী, শিশু ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণদের।

পরিসংখ্যান বলে, মাদকাসক্তদের ৪ ভাগের মধ্যে ১ ভাগই তরুণ। অথচ এই তরুণদের নিয়ে পরিবার, জাতি, সমাজ, দেশ ও দেশের মানুষ এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে প্রতিনিয়ত। কিন্তু মাদকের থাবায় ধ্বংস হয়ে যাবার যে অশনি সংকেত, সেটি কি সত্যিই গ্রাস করে ফেলতে পারে ভবিষ্যত প্রজন্মকে! কিংবা এর থেকে উত্তরণের উপায়ই বা কি। এরকম অনেক প্রশ্নের উত্তরও খুঁজে পাওয়া যাবে বইটিতে।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন

অপরদিকে, বিশ্বায়নের প্রভাবে আকাশ সংস্কৃতি ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা বেড়ে গেছে। কিশোরদের অপরাধপ্রবণতায় এই উপাদানগুলো পরোক্ষভাবে জড়িত। স্মার্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যত কাণ্ডারীদের নৈতিক স্খলন ঘটছে, যা আজকের দিনে দৃশ্যমান। এর প্রেক্ষাপটে কিশোর গ্যাংয়ের অনুপ্রবেশ ঘটেছে আমাদের সমাজে। কিশোরদের শারীরিক, মানসিক, ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করলে কি কিশোর অপরাধ কমানো যাবে, কিংবা রুখে দেয়া যাবে নেতিবাচক এই গ্যাং কালচার! এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের করণীয় সম্পর্কে লেখক এনেছেন ‘কিশোর গ্যাং : কীভাবে এলো, কীভাবে রুখবো’ বইটি।

/এমএইচআর

Exit mobile version