Site icon Jamuna Television

আমি রাজনীতি ছাড়লেও রাজনীতি আমাকে ছাড়বে না: দেব

লোকসভায় সবশেষ যেভাবে বক্তব্য রেখেছিলেন দেব, তাতে অনেকেরই মনে হয়েছিলো রাজনীতিকে বোধহয় এক রকম বিদায়ই জানাবেন টলিউড সুপারস্টার। কিন্তু দিন দুয়েক না পার হতেই ভিন্ন আবহ দেখা গেলো ওপার বাংলার জনপ্রিয় এই নায়কের। সম্প্রতি তিনি দেখা করেছেন দলের সভাপতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে।

কয়েকদিন আগেই দেবের নির্বাচনী এলাকা পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে গিয়ে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানসহ ৩টি পদ থেকে পদত্যাগ করেন দেব। তিনি আর ঘাটাল থেকে ভোটে দাঁড়াবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয় পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে।

গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সংসদে তার বসার আসনের একটি ছবি দিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ ক্যাপশনে নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দেব লেখেন, আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা! এই পোস্টের পরই তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে জল্পনা ছড়ায়।

এর আগে, দেবের সিনেমার সতীর্থ হিরণ চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষসহ একাধিক বিজেপি বিধায়কও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ঘুষের অভিযোগ আনেন। বলা হয়, ৩০ পার্সেন্ট কমিশন না পেলে দেব তার এলাকায় কাজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে করতে দেন না। ভাইরাল এক অডিওতে তার নিজের দলেরই বিধায়ক এই অভিযোগ আনেন বলে প্রচার হয় কলকাতার প্রথম সারির বিভিন্ন গণমাধ্যমে। অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী দেবের পদত্যাগ নিয়ে আগাম বার্তা দেন।

সবকিছু পাশ কাটিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ দুই নেতার সাথে দেবের বৈঠকই বলে দেয় তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এখনই শেষ নয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরেই হাসপাতালে অসুস্থ মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখতে যান দেব। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এর আগের দিনও আমি বলেছিলাম, আমি চাইলেই যে বেরিয়ে যাব, বা ভোটে দাঁড়াবো না, সেটা হবে না। দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) মতামতও খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে আজকে একটা কথাই বলব, আমি রাজনীতি ছাড়লেও রাজনীতি আমাকে ছাড়বে না।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে ভোটে অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজনীতির মাঠে নামেন দেব।

এমএইচআর/এটিএম

Exit mobile version