মধু বললেই বাংলাদেশিদের মাথায় আসে সুন্দরবনের নাম। তবে, এর ভৌগলিক নির্দেশনা (জিআই) হাতছাড়া হয়েছে ঢাকার। এ বনের ৩৪ শতাংশ মালিকানা নিয়ে মধুর জিআই স্বত্ত্ব নিয়ে নিয়েছে ভারত।
দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যভিত্তিক রেজিস্টার্ড জিআই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের পণ্য হিসেবে যুক্ত করেছে মধুকে। এতে ক্ষুব্ধ সুন্দরবনের মৌয়ালরা। বন বিভাগ আর মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতাকেই দুষছেন বিশিষ্টজনরা।
এমন কাণ্ডে সাতক্ষীরার মৌয়াল ও সচেতন নাগরিকরাও হতবাক। মৌসুম এলে যেখানে সুন্দরবনের বৃহৎ অংশ থেকে দেশের বনজীবীরা মধু সংগ্রহ করে থাকেন। তারপর যা চলে যায় সারাদেশে।
এ বিষয়ে স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী মাধব দত্ত বলেন, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভূমিকার কারণেই আসলে এমনটা হয়েছে।
এই যখন অবস্থা তখন বন বিভাগের ভূমিকা কী? এ ব্যাপারে খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাছের মোহসিন হোসেন মুঠোফোনে বলেন, জিআইয়ের বিষয়টা বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সাথে সম্পর্কিত। তারা কেউ আবেদন করেছে কি না আমার জানা নেই।
এদিকে, সুন্দরবনের মধুর জিআই স্বীকৃতি আদায়ে ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনে (ডব্লিউআইপিও) সালিশি মামলার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
/এটিএম/এমএন

