আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ‘ঘ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এই প্রশ্ন ছড়ায় বলে দাবি করা হয়। পরীক্ষা শুরুর ঘন্টাখানেক আগে হাতে লেখা যে প্রশ্ন পাওয়া গেছে, পরীক্ষার পর দেখা যায় সেসবের বেশির ভাগই হুবহু মিলেছে।
আজ শুক্রবার সকালে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ১০টায় শুরু হয়ে চলে একঘণ্টা। পরীক্ষা শুরুর আগেই এই ইউনিটের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। প্রশ্নফাঁস হয়েছে দাবি করে, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সংবাদ কাভার করতে যাওয়া গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে বেশ কিছু শিক্ষার্থীও।
অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নের সাথে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন মিলিয়ে দেখা যায়, বাংলায় ২৫টি প্রশ্নের মধ্যে ১৯টি, ইংরেজী বিষয়ের ২৫টির মধ্যে ১৭টি, সাধারণ জ্ঞান, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিভাগের ৫০টি প্রশ্নের মধ্যে ৩৬টি প্রশ্ন হুবহু মিলেছে।
যেমন- বাংলা বিভাগের প্রশ্ন ছিল আদায়-কাচকলা খেয়ে নেমেছে বাক্যটি কী হারিয়েছে। উত্তর যোগ্যতা। প্রশ্ন: উদ্ধত এর সন্ধি বিচ্ছেদ এর উত্তর উৎ যোগ হতো। এগুলোর সবই মিলেছে হাতে লেখা সমাধানের সাথে। এভাবে, বাংলা, সাধারণ জ্ঞানের সাথে মেলালে, প্রশ্ন নম্বরের সাথে না মিললেও মিলেছে প্রশ্ন ও উত্তরের সাথে।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে এই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর গোলাম রব্বানীকে অবহিত করা হলে তিনি জানান, সব তথ্য-উপাত্ত খতিয়ে দেখা হবে।
এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কমিটির সমন্বয়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. সাদেকা হালিম জানান, এরকম কোনো তথ্য তার কাছে নেই। তাছাড়া, পরীক্ষা সুষ্ঠু হয়েছে।
গতবছর ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত একই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়। ফাঁসের তথ্য-প্রমাণসহ খবর প্রকাশ হয় সব গণমাধ্যমে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হলেও তারা এখনও প্রতিবেদন দেননি।
আজকের ভর্তি পরীক্ষা মোট ৮১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ‘ঘ’ ইউনিটে ১৬১৫টি আসনের বিপরীতে (বিজ্ঞানে- ১১৫২টি, বিজনেস স্টাডিজে- ৪১০, মানবিকে- ৫৩টি) ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ছিলো ৯৫ হাজার ৩৪১জন। অর্থাৎ প্রতি আসনে লড়েছেন ৫৯ জন শিক্ষার্থী।

