Site icon Jamuna Television

সারফারাজের টেস্ট ক্যাপ ছুঁয়ে অঝোরে কাঁদলেন তার বাবা

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে ভারতের জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হলো সারফারাজ খান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে অভিষেক হয়েছে মিডল অর্ডার এই ব্যাটারের। মর্যাদার টেস্ট ক্যাপ পেয়েছেন সাবেক কিংবদন্তি স্পিনার অনিল কুম্বলের কাছ থেকে। এমন মুহুর্তে আবেগ তাড়িত হয়ে অশ্রু সিক্ত হন সারফারাজের বাবা নওশাদ খান। দীর্ঘদিন ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করেও অপেক্ষা করতে হয়েছে এমন দিনের জন্য।

হৃদয়ের গহীনের অশ্রুটুকু লুকানোর কি চেষ্টা। পুত্রের অর্জনে কোনো পিতাই বোধহয় আনন্দাশ্রু লুকাতে পারে না। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়ে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে সারফারাজ খানের। স্বপ্নটা দেখার পথে বাবা ছিলেন ছায়া হয়ে তার কষ্টগুলোও যায়নি বৃথা।

সারফারাজকে অভিষেক ক্যাপ পড়িয়ে দেন সাবেক স্পিনার অনিল কুম্বলে। খুশির মুহূর্তে নিজের আবেগকে আর ধরে রাখতে পারেননি বাবা নওশাদ খান। কেননা সন্তানের খুশিই যে পিতার সবচেয়ে বড় সুখ।

মর্যাদার এই ক্যাপ পেয়ে প্রথমেই ছুটে যান বাবার কাছে। এত বছরের অপেক্ষার অবশানে আবেগ তাড়িত হয়ে যান পিতা-পুত্র। চোখের জল নিয়ে ছেলের টেস্ট ক্যাপে চুমু খান বাবা। ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটারের স্ত্রীও ছিলেন সেখানে। তার স্ত্রীর চোখও তখন ছিল অশ্রুসিক্ত। 

সরফরাজের তিলে তিলে গড়ে ওঠার গল্পটা অনেক বড়। ২০০৯ সালে সবে ১২ বছর বয়স। ভারতের হ্যারিস শিল্ড আন্তঃস্কুল টুর্নামেন্টে ৪৩৯ রানের ইনিংস খেলে তাকি লাগিয়ে দেন সরফরাজ। ২০১৯-২০ ও ২০-২১ টানা দুই মৌসুম রঞ্জি ট্রফিতে করেছিলেন ৯০০’র বেশি রান। ঘরোয়া ক্রিকেটে ৬৬ ইনিংসে গড় ৬৯.৮৫, যা কিনা ক্রিকেট ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ।

এত কিছু করেও জাতীয় দলের দরজাটা খোলেনি একজন সরফরাজের জন্য। সারফারাজকে সুযোগ না দেয়ায় সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিলো নির্বাচকদের।

এদিকে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্ট সিরিজে উইনিং কম্বিনেশন ভেঙ্গে বড় পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে ভারত। বাদ পড়েন শ্রেয়াস আইয়ার, উইকেট কিপার ব্যাটার কেএস ভরত আর রিজার্ভ বেঞ্চে চলে যেতে হয় স্পিন অলরাউন্ডার আক্সার প্যাটেলকে। দরজাটা তাই খুলে যায় সারফারাজ খানের জন্য।

/আরআইএম

Exit mobile version