Site icon Jamuna Television

পুতিনের সবচেয়ে বড় ‘শত্রু’ কে এই নাভালনি?

বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতারধর ব্যক্তি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিশ্বের বড় বড় নেতারা যাকে সমীহ করে চলে। সেই পুতিনের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ভাবা হতো দেশটির বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনিকে। রাজনীতির কারণে পুতিনের শত্রুতেও পরিণত হন নাভালনি। নানা মামলায় কারাগারেই কেটেছে তার জীবনের বড় একটি অংশ।

পুতিন বিরোধী অবস্থানের কারণে নির্যাতন নিপীড়নও সহ্য করতে হয়েছে নাভালনিকে। বেশ কয়েকবার মৃত্যুর গুজবও ছড়িয়েছে এই নেতার। বিষপ্রয়োগেও হত্যা চেষ্টা করা হয় নাভালনিকে। তবে পুতিনের সমালোচনায় মুখর থেকেছেন সবসময়। শেষ পর্যন্ত কারাগারেই মারা গেলেন রাশিয়ার বিরোধী নেতা নাভালনি।

জানা যায়, আইনজীবী থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠেন নাভালনি। রাজনীতি শুরু করেন দুই হাজার সালের শুরু থেকেই। তবে আইনজীবী হিসেবে পেশাদার জীবন শুরু করা নাভালনি সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন ২০০৮ সাল থেকে। সেসময় সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি নিয়ে শুরু করেন ব্লগ লেখা। ক্ষমতাসীনদের সরাসরি মদদে দুর্নীতি করা হচ্ছে এমন তথ্য উঠে আসে তার লেখনিতে। মুলত তখন থেকেই নাভালনি সরকার আর ব্যবসায়ী শ্রেণির চক্ষুশুল হয়ে ওঠেন।

ন্যাশনাল রাশিয়ান লিবারেশন মুভমেন্ট দলের অধীনে ২০১১ সালে পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন নাভালনি। ওই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে আবারও আসেন আলোচনায়। সেসময় তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়। মুলত এরপর থেকেই জোরালো হয়ে ওঠে তার পুতিনবিরোধী অবস্থান।

কারাগারে নাভালনি। ছবি- ফাইল

কারাগার থেকে বের হওয়ার পর পুতিনবিরোধী রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেন নাভালনি। তারপর থেকেই গ্রেফতার, নির্যাতন আর কারাবন্দী জীবন অনেকটাই নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়। ২০১৩ সালে অর্থ চুরির দায়ে আবারও কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। নানা অভিযোগে পার্লামেন্ট এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রেও বারবার বাধার মুখোমুখি হতে হয়েছে নাভালনিকে। অংশ নিতে পারেননি ২০১৮ সালের নির্বাচনে।

শুধু কারাবন্দী জীবনই নয়, বারবার হত্যাচেষ্টার শিকারও হয়েছেন নাভালনি। ২০১৭ সালে রাসায়নিক হামলার শিকার হন। ২০২০ সালে বিষপ্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল নাভালনিকে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত বেঁচে যান তিনি।

গেল বছর রাশিয়ার একটি আদালত তাকে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেয়। এরপর বেশ কিছুদিন হদিস পাওয়া যায়নি নাভালনির। পরে রুশ কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর কারাগার হিসেবে পরিচিত আর্কটিক পেনাল কলোনিগুলোর একটিতে স্থানান্তর করা হয়েছিলো নাভালনিকে।

/এনকে

Exit mobile version