Site icon Jamuna Television

‘পারমাণবিক যুদ্ধ’ নিয়ে পশ্চিমাদের প্রতি হুঁশিয়ারি পুতিনের

ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেন যুদ্ধে সুবিধাজনক অবস্থানে রাশিয়া। সম্প্রতি, দেশটিতে সেনা পাঠানো ইস্যুতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাকরণের মন্তব্য ঘিরে চলছে তোলপাড়। এদিকে, কারাবন্দি বিরোধী নেতা অ্যালেক্সাই নাভালনির মৃত্যুতে চলছে তুমুল সমালোচনা। এরমধ্যেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর আল জাজিরার।

বার্ষিক এই ভাষণে পুতিন কথা বলেন ইউক্রেন যুদ্ধসহ সমসাময়িক নানা ইস্যুতে। এসময় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো থেকে ইউক্রেনে সেনা পাঠানো ইস্যুতে যে আলোচনা চলছে, সেটি উঠে আসে রুশ প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে।

পশ্চিমাদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, তারা ইউক্রেনে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো থেকে সামরিক দল পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলছে। আগে যারা রাশিয়ায় সেনা পাঠিয়েছিলো, তাদের পরিণতি কী হয়েছিলো, সেটি আমরা তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। তবে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে কেউ হস্তক্ষেপ করতে চাইলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।

পুতিনের হুমকি, পশ্চিমা যেকোনো দেশের ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারে, এমন অনেক সমরাস্ত্র আছে তাদের ভাণ্ডারে। রুশ প্রেসিডেন্টের কঠোর বার্তা, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো ইউক্রেনে সেনা পাঠালে তৈরি হবে পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি, যা বিশ্বের জন্য ধ্বংস ডেকে আনবে।

তিনি বলেন, তাদের সবার ভূখণ্ডেই আঘাত হানার মতো অস্ত্র রাশিয়ার কাছে আছে। তাদের সেটি বোঝা উচিত। তারা গোটা বিশ্বেই আতঙ্ক ছড়াতে চাইছে। যা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। আর এমনটা হলে গোটা সভ্যতার ধ্বংস ডেকে আনবে।

রুশ ভাণ্ডারে থাকা বিভিন্ন অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের তথ্যও তুলে ধরেন পুতিন। জানান, কিনঝাল ও জিরকন মিসাইল এরইমধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করছে রুশ সেনারা। আন্তঃমহাদেশীয় অ্যাভেনগার্ড হাইপারসনিক মিসাইল ও পিরেসভেট লেজার সিস্টেমও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।

সীমাহীন পাল্লার ক্রুজ মিসাইল বুরেভেস্টনিক ও মানুষবিহীন আন্ডারওয়াটার সমরযান পোসেইডনের সফল পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এরইমধ্যে রুশ সেনাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে সারমাত নামের ব্যালেস্টিক মিসাইল।

/এএম

Exit mobile version