Site icon Jamuna Television

কে এই রায়হান শরীফ?

সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে পিস্তল কাণ্ডের হোতা ডা. রায়হান শরীফ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ৫২ ব্যাচের ছাত্র। তার ভয়ে তটস্থ থাকতো শিক্ষক এবং ওই সময়ের শিক্ষার্থীরা।

ক্যামেরার সামনে না আসার শর্তে সহপাঠিসহ অন্যরা জানান, ছাত্রজীবন থেকেই উগ্র আর বেপরোয়া জীবন রায়হান শরীফের। ক্যাম্পাসে চলাফেরা করতেন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে। শহীদ শাহ মইনুল আহসান হলের আবাসিক ছাত্র থাকাকালে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ক্যান্টিনের ২৬ হাজার টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগ আছে। এতো কিছুর পরও তাকে বাগে আনতে পারেননি অধ্যক্ষ।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী বলেন, মানসিক ভারসাম্য না হারালে এ ধরনের কাজ করার কথা নয়। তবে পিস্তল নিয়ে তার ক্লাসে যাওয়ার বিষয়টা কিন্তু ভিন্ন। এর সাথে মানসিক ভারসাম্যহীনতার খুব বেশি সম্পর্ক রয়েছে বলে আমার মনে হয় না।

ক্যাম্পাসের উগ্রতা রায়হান শরীফ বয়ে নিয়ে গেছেন কর্মক্ষেত্র সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত। বারবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন সহকর্মী আর শিক্ষার্থীরা। তারপরও নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা।

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. আমিরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বলেছেন, পিস্তলের লাইসেন্স আছে। তাকে শোকজ করা হয়েছে। আমাদের অনেক শিক্ষক তাকে কাউন্সেলিং করেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়ায় ছিলাম আমরা। একজন চিকিৎসক ও শিক্ষকের কাছ থেকে এমন আচরণ কাম্য নয়, বলছেন শিক্ষকরাও।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে শিক্ষক রায়হান শরীফের গুলিতে আহত হন আরাফাত আমিন তমাল নামে এক শিক্ষার্থী। ওই দিন রাত সোয়া ১২টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

এর আগে, সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, রায়হান শরীফের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি পিস্তলই অবৈধ। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন রায়হান শরীফ।

/এএম

Exit mobile version