Site icon Jamuna Television

জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়: ভোক্তাদের সুবিধা পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

ফাইল ছবি

বিশ্ববাজারের সাথে তাল মিলিয়ে জ্বালানি তেলের দর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ করছে সরকার। এখন থেকে প্রতি মাসেই এ মূল্য সমন্বয় করা হবে। ভারতসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে এ পদ্ধতিটি চালু থাকলেও বাংলাদেশে এটি প্রথম। প্রাথমিকভাবে প্রতি মাসে মূল্য সমন্বয় করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ৩ টাকা, অকটেনের দাম ৪ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৭৫ পয়সা কমানো হয়েছে। তাতে ভোক্তারা প্রতি লিটার পেট্রোল ১২২ টাকা, অকটেন ১২৬ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিন ১০৮ টাকা ২৫ পয়সায় কিনতে পারবেন।

এই পদ্ধতিকে স্বাগত জানালেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মুনাফা ও সরকারের কর আরোপের পর ভোক্তারা কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাবেন না। ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার কথা বিবেচনায় নেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ হোসেন বলেন, যদি ডিজেলের দাম ১০০ টাকার নিচে হতো, তাহলে খুশি হওয়ার বিষয় ছিল। কিন্তু এর মধ্যে বিপিসির মুনাফা ও সরকারের কর রয়েছে। ফলে আন্তজার্তিক বাজারে যে দাম রয়েছে, তার সম্পূর্ণ সুবিধা ভোক্তারা ভোগ করতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তিগত দিক থেকে এর কোনো সমস্যা নেই। কারণ বর্তমানে সবার হাতেই মোবাইল ফোন রয়েছে। যেহেতু এটি প্রথমবার হচ্ছে এবং আমাদেরও কোনো অভিজ্ঞতা নেই, তাই প্রথম মাস এটিকে সমর্থন করি।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ভারতের সমন্বয়ের কাঠামো শক্তিশালী হওয়ায় সেখানে দৈনিক দাম সমন্বয় করা হয়। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বাস ভাড়া বা অন্যান্য বিষয়গুলো কীভাবে নির্ধারিত হবে সেটি এখনও পরিষ্কার নয়।

তিনি আরও বলেন, মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় বিপিসির জন্য ২ থেকে ৩ শতাংশ মুনাফা কেন রাখতে হবে? এছাড়া, এক্ষেত্রে যে উৎসগুলো ব্যবহার করা হবে, তা যাতে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় এবং উৎসজনিত তথ্য-উপাত্তগুলো যেন নিয়মিত রিপোর্ট করা হয়।

প্রসঙ্গত, কোভিড মহামারির পর হঠাৎ করেই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যায়। এর সাথে তাল মিলিয়ে ২০২২ সালে জ্বালানি তেলের দাম ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি করে সরকার। কিন্তু পরবর্তীতে বিশ্ববাজারে দাম কমলেও সেটির সাথে খুব একটা সমন্বয় করেনি সরকার। সে অর্থবছরে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা লাভ করে বিপিসি।

/আরএইচ/এমএন

Exit mobile version