Site icon Jamuna Television

চাহিদা বেড়েছে অগ্নিনির্বাপণ সামগ্রীর

হঠাৎ চাহিদা বেড়েছে অগ্নিনির্বাপণ সামগ্রীর। শিল্পপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বাসাবাড়ির নিরাপত্তায় কিনছেন অনেকেই। চাহিদা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রয় কর্মীরা।

মূলত, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রীন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বাড়িয়েছে সরকারি নজরদারি। পাশাপাশি সচেতনতা বেড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। যে কারণে অগ্নিনির্বাপণ সামগ্রীর দোকানে ভিড়।

রাজধানীর বিভিন্ন দোকানে গিয়ে যায়, মার্কেট, কারখানার পাশাপাশি বাসাবাড়ির জন্যও অগ্নিনির্বাপণ সামগ্রী সংগ্রহ করছেন। সবচেয়ে বেশি কিনছেন আগুন নেভানোর পাউডার ও কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সিলিন্ডার।

দাম নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগ থাকলেও বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা বৃদ্ধির কারণে কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি। প্রতিটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১১শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা। সাড়ে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ফায়ার বল। তবে ডলারের দাম বৃদ্ধির কিছুটা প্রভাব আছে বলে জানান ব্যবসাযীরা।

মানুষের সচেতনতার অভাবে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, অগ্নিনির্বাপণ ও শনাক্তের অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতি আছে বাজারে। এগুলোর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব।

ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমন্টে বিজনেস ওনার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ উদ্দিন জানান, আগুন নেভানোর সরঞ্জামে মানুষের নজর বেশি। কিন্তু বেশি দরকার শনাক্তকরণ যন্ত্র। যার মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব।

ভবন কর্তৃপক্ষ টাকা বাচাতে সাধারণ মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে এমন অভিযোগ আসছে ঘুরেফিরে। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ানো পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।

/এমএন

Exit mobile version