Site icon Jamuna Television

‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণে যা বললেন বাইডেন

'স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন' ভাষণ

'স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন' ভাষণ

‘স্টেট অব দি ইউনিয়ন’ ভাষণকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিদায়ী বছরে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে এটাই জো বাইডেনের সবশেষ ভাষণ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় আগ্রাসন আর অভিবাসন ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বেশ চাপে। তাই, এবারের বক্তৃতা পেয়েছে বাড়তি গুরুত্ব। শুক্রবার (৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কংগ্রেসের উভয় কক্ষের সদস্যদের উপস্থিতিতে এক ঘণ্টার বেশি সময় ভাষণ দেন বাইডেন। ভাষণে সবচেয়ে আলোচিত ছিলো গাজা পরিস্থিতি। উপত্যকার মানবিক বিপর্যয়ে, বড় পরিসরে ত্রাণ পৌঁছাতে ভূমধ্যসাগরে অস্থায়ী বন্দর নির্মাণের ঘোষণা দিলেন প্রেসিডেন্ট। বলেন, গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্ব দিচ্ছে। সামরিক বাহিনীকে ভূমধ্যসাগরের গাজা উপকূলে, একটি অস্থায়ী বন্দর নির্মাণে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে, জাহাজের মাধ্যমে সেখানে প্রতিদিন পর্যাপ্ত খাবার ও পানি পাঠানো যায়। গাজায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে যাদের বেশিরভাগই হামাসের সদস্য নয়। নিরপরাধ গাজাবাসীকে রক্ষা করা ইসরায়েলের মৌলিক দায়িত্ব।

অবশ্য, অভিবাসন ইস্যুতে কাঠগড়ায় দাঁড় করান প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই। অভিযোগ, সীমান্ত সুরক্ষায় উত্থাপিত তার প্রস্তাবে রিপাবলিকানরা সমর্থন দিলে, আজকের পরিস্থিতি তৈরি হতো না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অভিবাসীদের নেতিবাচক হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।

বাইডেন এ প্রসঙ্গে বলেছেন, অভিবাসীদের নেতিবাচক হিসেবে তুলে ধরবো না। এটা বলবো না তারা আমাদের দেশকে ধ্বংস করছে। পরিবার থেকেও বিচ্ছিন্ন করবো না। অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আনতে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছিলো। সেই বিল পাস হলে, অভিবাসন প্রার্থীদের জন্য সুযোগ তৈরী হতো।

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নিজের শাসনামলকে তুলনা করেন হিটলারের সময় ক্ষমতায় থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে। বিদায়ী ভাষণকে অবশ্য অনেকটা নির্বাচনী ক্যাম্পেইন বানিয়েছেন বাইডেন। জানিয়েছেন একের পর এক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। ভাষণের আগাগোড়া ছিলো ট্রাম্পের সমালোচনাও। তবে, নাম উল্লেখ না করেই মোট ১৩ বার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নিজের পূর্বসূরী আখ্যা দেন তিনি।

/এআই

Exit mobile version