Site icon Jamuna Television

ইন্দোনেশিয়ার বালি’তে আজ সারাদিন থাকবে নীরবতা

ইন্দোনেশিয়ায় রয়েছে প্রায় বিশ হাজার দ্বীপ। পর্যটনখাতে বেশ পরিচিত এবং ভ্রমণপিপাসু মানুষদের জন্য সুন্দর গন্তব্যের একটি দেশ এটি। দেশটির যতগুলো পর্যটন স্পট আছে তার মাঝে অন্যতম হলো বালি দ্বীপ। এ দ্বীপের আয়তন প্রায় পৌনে ৬ হাজার বর্গমাইল। তবে অদ্ভুদ একটি নিয়ম রয়েছে দ্বীপটিতে। স্থানীয় সাংস্কৃতিক আবহ অনুযায়ী বছরের প্রথম দিন তারা একেবারে নিশ্চুপ হয়ে কাটান। ইংরেজি বর্ষপঞ্জিতে এবার সেই দিনটি পরেছে ১১ মার্চ, ২০২৪।

নাইপি’র আগের দিন উৎসব হয় ইন্দোনেশিয়ায়। স্থানীয়ভাবে যা’মেসাবাতান আপি’ নামে পরিচিত

স্থানীয় ভাষায় এই বিশেষ দিনটিকে বলা হয়ে থাকে ‘নাইপি’। এটি মুলত সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বিশেষ একটি দিন। এদিন তারা ২৪ ঘণ্টা একেবারে চুপচাপ থাকেন। কারো সাথে কেউ কথা বলেন না। রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার সব বন্ধ থাকাসহ রেডিও-টেলিভিশন এমনকি বন্ধ থাকে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট সেবা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানকার প্রশাসন আরো একধাপ এগিয়েছে। বিশেষ এই দিনটিতে দ্বীপের আশেপাশের এলাকা দিয়ে বিমান অবতরণেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

দ্বীপটির মোট জনসংখ্যা ৫০ লাখের মতো। অথচ এদিন বোঝার উপায় থাকে না দ্বীপটিতে কেউ আছে। একেবারে ভুতুড়ে এলাকা হয়ে যায় এটি। কেবলমাত্র রাস্তায় দেখা যায় টহলরত কিছু পুলিশকে।

বিভিন্ন ধরনের মুখোশের সাজ নিয়ে তারা রাস্তায় নেমে বলতে থাকে ‘ওগোহ ওগোহ’।

অপরদিকে বর্ষবরণের আগের রাতে তাদের থাকে জমকালো আয়োজন। বিভিন্ন ধরনের মুখোশের সাথে রাস্তায় শোভাযাত্রায় বের হয় সেখানকার মানুষ। তাদের মুখে শুনতে পাওয়া যায় ‘ওগোহ ওগোহ’ শ্লোগানস্বরূপ দুটি শব্দও।

দ্বীপটির বেশিরভাগ মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। তারা বিশ্বাস করে নাইপি হলো মনের কালিমা ধুয়ে ফেলে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে শুদ্ধ করার দিন। এজন্য সব কাজ ফেলে রেখে এদিন সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনাও করেন তারা।

/এমএইচআর

Exit mobile version