
অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে অস্কার অনুষ্ঠানের বাইরে হলিউডে জড়ো হয় বিক্ষোভকারীরা। ছবি: লস অ্যাঞ্জেলস টাইম
একাডেমি অ্যাওয়ার্ড আসরে ঢোকার পথেই বাধার মুখে পড়েন শিল্পী-কলাকুশলীরা। বিক্ষোভকারীদের একটাই প্রশ্ন, গাজায় যখন রক্তক্ষয়ী আগ্রাসন চলছে, সেসময় কেন এই লোকদেখানো অস্কার অনুষ্ঠান?
তাতে অনেক শিল্পীই দেরিতে পৌঁছান ডলবি থিয়েটারে। সাংবাদিকদের সামনে প্রকাশ করেন ফিলিস্তিন ও মানবতার ব্যাপারে একাত্মতা।
ডলবি থিয়েটারে ঘোষিত হচ্ছে একের পর এক পুরস্কার। গেটের বাইরে তখনও চলছে আন্দোলন। যুদ্ধবন্ধের পক্ষে স্লোগান তোলেন মানবাধিকারকর্মীরা। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মার্কিন মদদে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার নিন্দাও জানান।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাচ্ছেন অভিনেতা মার্ক রাফেলো। ছবি: রয়টার্স
এক প্রতিবাদকারী বলেন, আমি নিজেই ইহুদি ধর্মের অনুসারী। তবুও গাজায় গণহত্যা ইস্যুতে ইসরায়েলের সাথে মার্কিন সম্পৃক্ততায় হতবাক। এখনই বন্ধ হোক ফিলিস্তিনে বোমাবর্ষণ। আরেকজন বলেন, এমপি থেকে গণমাধ্যমকর্মী যাদেরই কথা বলার সুযোগ আছে, তারা যেন যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের বিরোধিতা করে। এক্ষেত্রে চুপ থাকাই সবচেয়ে বড় অন্যায়।
চলচ্চিত্রের কুশীলবদের নিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে খোদ শিল্পী-নির্মাতারাই। একাডেমির নীরবতা নিয়ে তুলেছেন প্রশ্ন। একজন বলেন, একাডেমির প্রতি নিন্দা জানাচ্ছি। ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলায় এক অভিনেত্রীকে চলচ্চিত্র থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। কাজ হারানোর ভয়ে অনেকেই নিশ্চুপ। ইচ্ছা থাকলেও শিল্পীরা গণহত্যার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছেন না।
অস্কার আয়োজন ঘিরে বিক্ষোভের আঁচ ছিলো আগে থেকেই। সে কারণে ৯৬তম আসরে ছিলো বাড়তি নিরাপত্তা। মোতায়েন ছিলো নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য।
/এএম



Leave a reply