Site icon Jamuna Television

থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিজেরাই করতে চায় বিমান বাংলাদেশ 

আব্দুল্লাহ্ তুহিন:

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রতিদিন উড়োজাহাজ ওঠানামা করে ১৫০ থেকে ১৭০টি। দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনস যাত্রী পরিবহন করে। আর গুরুত্বপূর্ণ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দেয় বিমান।

বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিজেরাই করতে চায়, রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা- বিমান। যদিও এ কাজে তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। নিজস্ব জনবলে, সেবা দেয়ার সময় লাগেজ ভাঙা, নষ্ট হওয়া, মালামাল চুরির মত বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে সংস্থাটির বিরুদ্ধে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ মফিজুর রহমান বলেছেন, আমরা সঠিক জিনিস দিয়ে সঠিক কাজটি করছি না। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোর লাগেজ যে ট্রলিতে করে নিয়ে আসা হয়, সেই ট্রলিগুলো লাগেজ টানার ট্রলি না। যার ফলে, লাগেজগুলো সেই ট্রলিতে বহন করার সময় পড়ে যাচ্ছে। যে ব্যক্তি নিয়ে আসছে, সে হয়তো জানছেও না, যে একটি লাগেজ পড়ে গেলো। ফলে, লাগেজ ভেঙ্গে যাচ্ছে। এগুলো আমাদের উন্নয়ন করতে হবে।

এরইমধ্যে নতুন করে তৈরি হয়েছে থার্ড টার্মিনাল। এটির গ্রাউন্ড সেবার জন্য আলোচনা হচ্ছিল, জাপানি কোম্পানির নাম। কিন্তু থার্ড টার্মিনাল চালুর আগে জোরে সোরে মাঠে নেমেছে বিমান। এরই মধ্যে হাজার কোটি টাকার বেশি খরচে কেনা হয়েছে নতুন সরঞ্জাম। কর্তৃপক্ষের দাবি, সর্বোচ্চ মানের সেবা দিতে প্রস্তত তারা।

বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম বলেন, গত এক বছরে, প্রায় এক হাজার জনবল নেয়া হয়েছে। পদোন্নতি দেয়া হয়েছে প্রায় ১২শ’ জনকে। কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেশে- বিদেশে চলমান রয়েছে। জাইকার সাথে দু’বছর ধরে কাজ করছি। সুতরাং এগুলো সবই প্রস্তুতির অংশ।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহেদুল আলম বলেন, এখানে প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন আছে। সেই সাথে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন আছে। শুধুমাত্র, সরঞ্জাম আনা হলো, কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ যদি সঠিকভাবে না করা হয়; তাহলে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে সেগুলো অকেজো হয়ে পড়বে। কাজেই, এখানে যারা গ্রাউন্ড সার্ভিস দিয়ে থাকে, সেসব গ্রাউন্ড হ্যান্ডলারদের যথাযথ প্রশিক্ষণ ও যাত্রীদের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের অনুপ্রাণিত করা প্রয়োজন।

যদিও সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান বলছেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা পরিচালনার জন্য আধুনিক সরঞ্জাম নয়, নির্ভর করছে প্রশিক্ষিত দক্ষ জনবল তৈরির ওপর।

বেসামরিক বিমান চলাচল কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, প্রয়োজন প্রশিক্ষিত দক্ষ জনবল। এগুলোর অভাব আছে এখনও। আমরা চেষ্টা করছি সেবার মান উন্নয়নের। তবে, ভবিষ্যতে আমাদের কি পরিমাণ দক্ষ জনবল লাগবে, তা নির্ভর করছে কনসালটেন্টদের ওপর। আমরা আসা করবো, ভবিষ্যতে যারা থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করবে, ওই ধরনের দক্ষতা সম্পন্ন হবে।

সিভিল এভিয়েশন সুত্রে জানা গেছে, জাপানী কোম্পানির তত্ত্বাবধানে শেষ পর্যন্ত বিমানকেই দেয়া হতে পারে থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা।

/এআই

Exit mobile version