Site icon Jamuna Television

‘দাঁত ঠিক থাকতেই যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে’

শামীম রেজা:

শুধু খাওয়া আর হাঁসিতেই সীমাবদ্ধ নয় দাঁতের কাজ। চিকিৎসকরা বলছেন, মুখ আর দাঁতের সাথে শরীরের যাবতীয় সংযোগ ও জটিল সব বিষয় জড়িত। তাই গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির যত্নে হতে হবে আরও সচেতন। দাঁত ঠিক থাকতেই যেতে চিকিৎসকের কাছে। বছরে অন্তত একবার হলেও নিয়মিত দাঁতের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

অথচ দাঁতে বড় ধরনের সমস্যা না হওয়া পর্যন্ত দেশের বেশিরভাগ রোগী ডেন্টিস্টের কাছে যেতে চান না। এই উদাসীনতায় দাঁত ও মাড়ির ক্ষতিসহ তৈরি হয় ক্যান্সারের আশঙ্কা।

অবশ্য, অতীতের তুলনায় মানুষের মধ্যে কিছুটা সচেতনতা বেড়েছে, তা যথেষ্ট নয়। ধূমপান, জর্দা, পান-সুপারি ও মিষ্টি জাতীয় খাবারের অভ্যাস দাঁতের সমস্যা বাড়াচ্ছে বলেও জানান দন্ত চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, শুধু নিয়মিত ব্রাশ করার অভ্যাসই মুখের ক্যান্সারারের ঝুঁকি কমাতে পারে।

বাংলাদেশ একাডেমি অব ডেন্টিস্ট্রি ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. আফজাল এইচ বি বলেন, অবহেলাজনিত কারণে প্রথমে দাঁত, তা থেকে মাড়ি তারপর চোয়াল এভাবে বেশিরভাগ বোন ক্যানসার হয়, এর অরজিন হচ্ছে চোয়াল। একমাত্র দাঁতেরই হাড়ের সাথে সংযোগ থাকে। অন্য হাড়গুলো মাংসপেশীর উপরে থাকে কিন্তু দাঁতের ক্ষেত্রে এটি ব্যতিক্রম। এই ক্ষয় রোধ না করা হলে তা ধীরে ধীরে ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে।

রাতে ঘুমানোর আগে ও সকালে নাশতার পর দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস জরুরি বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ। বললেন, মাড়ির ক্ষেত্রে খাবার জমে জমে আবরণ পড়তে থাকে। এটিকে ক্যালকুলাস বলা হয়। অনেকে এটিকে দাঁতের পাথরও বলে থাকে। এগুলো মাড়িকে নষ্ট করে ফেলে, তখন এর নিচে দাঁত ধরে রাখার যে লিগামেন্ট থাকে, সেটিও নষ্ট হয়ে যায়। ফলে দাঁত নড়ে ও পড়ে যায়।

দাঁতের ক্ষতি হওয়ার পর চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও সমস্যা কম নয়। কারণ নিবন্ধনহীন ও হাতুড়ে কিংবা ভূয়া চিকিৎসকের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়।

এ বিষয়ে ডা. আফজাল এইচ বি বলেন, আমাদের আর্থিক বা অন্য কোনো বিষয়ে ক্ষতি হলে তা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব। কিন্তু জীবন যেহেতু একটাই, সেহেতু চিকিৎসা নেয়ার ক্ষেত্রে যাচাইবাছাই করা উচিৎ। এক্ষেত্রে চিকিৎসক রেজিস্টার্ড কি না বা যে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন তার জন্য তিনি উপযুক্ত কি না তা যাচাই করতে হবে।

/আরএইচ/এমএন

Exit mobile version