Site icon Jamuna Television

পুলিশের পা ধরে কাঁদলেন, তবুও দিতে হলো জরিমানা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার পথে ট্রাফিক পুলিশের চেকপোস্টের মুখে পড়েন এক যুবক। ট্রাফিক পুলিশের কাছে পর্যাপ্ত কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন ওই চালক। এসময় হাত-পা ধরে মাফ চাইলেও জরিমানা থেকে রক্ষা পাননি তিনি। তাকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।

রোববার (৩১ মার্চ) ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ী এলাকার জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আর এমন একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক মাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেটিজেনরা।

ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের গেটের পাশে মোটরসাইকেল আরোহী যুবক ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যকে দুই হাতজোড় করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে অনুরোধ করছেন জরিমানা ও মামলা না দিতে।

ওই যুবক দাবি করেন, অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে আসলে পথে ট্রাফিক পুলিশ তার মোটরসাইকেল আটক করে চাবি কেড়ে নেয় এবং জরিমানাসহ মামলা দেয়ার হুমকি দেয়। এসময় অনেক অনুরোধ এবং হাতে-পায়ে পড়ে কান্নাকাটি করার পরেও কোনোভাবেই তাকে ছাড় দেয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

মোটরসাইকেল আরোহীর বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) আমজাদ হোসেন জানান, আইন সবার জন্য সমান। হাত পা ধরে মাফ চাইলে কি সমাধান পাওয়া যায়? ওই যুবকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান তিনি।

ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক জানান, গাড়ি ও চালকের বৈধ কাগজ না থাকলে অথবা ট্রাফিক আইন ভাঙলে পুলিশ মামলা দেয়াসহ আইনগত ব্যবস্থা নেবে, এটাই স্বাভাবিক। একারণে পুলিশের পা ধরে কান্নাকাটির কিছু নেই। পুলিশ কাউকে ধরলেই বলা হয়, ওষুধ কেনার জন্য যাচ্ছে। ওই ব্যাক্তি চিকিৎসকের ওষুধের কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, কারও গাড়ি আটক করে মামলা দেয়া হলে পরবর্তীতে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। এটা পুঁজি করে ভিডিও ভাইরাল করার কিছু নেই। ট্রাফিক পুলিশ যদি কারও কাছ থেকে টাকা নেয়, লিখিত অভিযোগ পেলে সেই পুলিশ সদস্যের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

/এএম  

Exit mobile version