Site icon Jamuna Television

আতঙ্কের নাম ‘ব্লু হোয়েল’!

প্রযুক্তির দুনিয়ায় নতুন আতঙ্কের নাম ‘ব্লু হোয়েল’! রাশিয়ার বিকারগ্রস্ত এক যুবকের উদ্ভাবিত এ অনলাইন গেম খেলাকে কেন্দ্র করে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে বেশ কিছু তরুণ-তরুণী।

টাইমস অফ ইনডিয়ার বরাতে জানা যায়, সম্প্রতি ব্লু হোয়েল গেমস খেলতে গিয়ে আত্মহত্যার দ্বারপ্রান্ত থেকে থেকে ফিরে এসেছে রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলার নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। শিক্ষকের তড়িৎ পদক্ষেপের ফলে প্রাণে রক্ষা পায় ছাত্রটি।

ঝুনঝুনুর ডিস্ট্রিক্ট ক্লালেক্টর দীনেশ কুমার যাদব জানান, ছেলেটি জানিয়েছে তার আরও তিন বন্ধু এই বিতর্কিত গেমসটি খেলছে। তাকে এখন কাউন্সেলিং করা হচ্ছে।

রাষ্ট্র পরিচালিত স্কুলটির ঐ শিক্ষকের মাধ্যমেই ঘটনা জানাজানি হয়। ছাত্রটি ‘ব্লু হোয়েল’ গেমের ৩টি ধাপ সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে সেই শিক্ষককে। যে মোবাইল ফোনে সে গেমটি ইনস্টল করেছিল, সেটি জব্দ করা হয়েছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমলেশ কুমার জানান, সকালের প্রার্থনার সময় তারা এখন নিয়ম করে এ গেমসের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করছেন। এজন্য, ঝুনঝুনুর ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরের নির্দেশে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞকেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এর আগে, ‘ব্লু হোয়েল’র কারণে আত্মঘাতী হতে গিয়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরের অপর এক ছাত্র। সূত্র: বিবিসি। এক্ষেত্রেও ত্রাণকর্তার ভূমিকায় একজন শিক্ষক।

এনডিটিভি’র তথ্যমতে, গত আগস্টে ব্লু হোয়েলের কারণে পশ্চিম বাংলার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া এক ছাত্র আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে তাকে বাঁচিয়ে ফেলে বন্ধুরা।

এর আগে, মুম্বাইয়ে স্কুল ছাত্র আত্মহত্যা ঘটনা তদন্তে পুলিশ ‘ব্লু হোয়েল’র গেমের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে।

‘ব্লু হোয়েল’ এমন একটি অনলাইন গেম যেখানে অংশগ্রহণকারীদের একের পর এক ভয়ংকর কাজ করতে বলা হয়। এর শেষ ধাপে নাকি আত্মহত্যার নির্দেশ থাকে! বিবিসিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য, রাশিয়ায় উদ্ভাবিত এই গেম খেলতে গিয়ে সারা পৃথিবীতে ইতিমধ্যেই প্রায় দেড়শোজন প্রাণ হারিয়েছে।

রাশিয়ায় ফিলিপ বুদেকিন নামের এক ছাত্র এই গেমটি তৈরি করেছে, যার মানসিক সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ আছে। কিশোর-কিশোরীদের মাঝে আত্মহত্যা প্রবণতা বাড়ার পর তাকে আটক করে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত মনোবিজ্ঞানের ছাত্র দাবি করে, অকর্মা মানুষদের আত্মহত্যার মাধ্যমে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়ে চেয়েছিল সে!

অবশ্য অনেক মনোবিদ বলছেন, সমাজিক বন্ধন নষ্ট হয়ে যাবার কারণে এসব আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। ‘ব্লু হোয়েল’ গেম হয়তো কিছু ক্ষেত্রে আগুনে ঘি ঢালছে, কিন্তু এটি নিয়ে এতো মাতামাতি না করে সমস্যার মর্মমূলে গিয়ে সমাধানে জোর দিচ্ছেন তারা।

(আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম অবলম্বনে তোয়াহা ফারুক)
যমুনা অনলাইন: টিএফ

Exit mobile version