Site icon Jamuna Television

ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা, প্রমাণ নষ্টে মরদেহে আগুন

স্টাফ রিপোর্টার,মানিকগঞ্জ

নিজের আপন খালুই ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করেছিল আঁখি আক্তারকে (১২)। এরপর প্রমাণ নষ্টের জন্য মরদেহ পেট্টোল দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
আঁখির খালু শাহাদত হোসেনকে(৩৩)পুলিশ গ্রেফতার করলে বুধবার এই খুনের রোমহর্ষক বর্ননা দেন। আদালতেও সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
শাহাদাত হোসেন দৌলতপুর উপজেলার বড় শ্যামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।

গত শনিবার মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর এলাকার একটি পরিত্যক্ত ডিপটিউবওয়েলের ঘর থেকে আগুনে পুড়া মরদেহ ‍উদ্ধার করে পুলিশ। পরনের সালোয়ারের কিছু অংশ দেখে পরবর্তীতে তার পরিচয় সনাক্ত করেন স্বজনরা। পর দিন গত ২১ অক্টোবর এই ঘটনায় দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।

মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের ডিআইও- মুহম্মদ আশরাফুল আলম জানান, দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সুনীল কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে এসআই মোঃ আব্দুল হাই আসামি শাহাদাত হোসেনকে ঢাকার ধামরাই থানার বারবাড়িয়া এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করেন। এর পর তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাদ করা হয়। এক পর্যায়ে তিনি আঁখিকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

আশরাফুল আলম জানান,গত ১৮ অক্টোবর আঁখিকে তার নানার বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার দিঘলিয়ায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে আসেন শাহাদাত। তবে সেখানে না নিয়ে আঁখিকে কৌশলে দৌলতপুরের চকমিরপুর এলাকায় নিয়ে যান শাহাদাত। দুই দিন ওই এলাকায় আঁখিকে রাখার পর ২০ অক্টোবর গভীর রাতে তাকে ধর্ষণ করে। পরে প্রমাণ নষ্ট করতে আঁখিকে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর পেট্টোল দিয়ে তার শরীর পুড়িয়ে দেয়া হয়।

আঁখির জন্মের আগেই তার বাবা আবুল হোসেন মারা যান। এরপর মা সেলিনা বেগমের সঙ্গে নানাবাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া গ্রামে থাকত আঁখি। সে মাদরাসায় লেখাপড়া করত। মা সেলিনা বেগম তাঁর দুই বোনের সঙ্গে সাভারের হেমায়েতপুরে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। সেখানেই ভাড়া বাসায় থাকেন।

কয়েক দিন আগে আঁখিকে নিজের কাছে এনে রেখেছিলেন সেলিনা। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে দিঘুলিয়ার উদ্দেশে আঁখিকে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে তুলে দেওয়া হয়। সেলিনার বোন জামাই শাহাদৎ আঁখিকে বাসে তুলে দেন। কিন্তু এর পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল।

Exit mobile version