Site icon Jamuna Television

স্ট্রাইক রেট নয় দলের জয়ই আসল কোহলির কাছে

ছবি: সংগৃহীত

চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) শুরু থেকেই ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন ভিরাট কোহলি। ১টি সেঞ্চুরি, ৪টি ফিফটিসহ মোট ৫০০ রান নিয়ে এবারের আইপিএলে কোহলিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের মালিক। তবে মন্থর ব্যাটিংয়ের কারণে প্রায়ই সমালোচনার শিকার হতে হচ্ছে ‘কিং’ কোহলিকে। অবশেষে সমালোচকদের জবাব দিলেন কোহলি। সেটি ব্যাট এবং মাইক্রোফোন হাতে দু’ভাবেই।

গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে রোববার (২৮ এপ্রিল) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ৯ উইকেটের জয়ে নায়কদের একজন কোহলি। ২০১ রান তাড়ায় তিনিই মূলত এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। তবে শেষদিকে দুই ওভারের তাণ্ডবে শতরান করে আলোটা কেড়ে নেন উইল জ্যাকস। ৩১ বলে ফিফটি ছোঁয়া ইংলিশ ব্যাটার পরের ১০ বলেই পৌঁছে যান সেঞ্চুরিতে। কোহলি অপরাজিত রয়ে যান ৪৪ বলে ৭০ রান করে। এই ইনিংস দিয়ে একটি মাইফলকও ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। এবারের আইপিএল সবার আগে পৌঁছে যান ৫০০ রানের ঠিকানায়।

ম্যাচ শেষে ধারাভাষ্যকার ও সাবেক খেলোয়াড় মুরালি কার্তিকের প্রশ্নটা ছিলো তার ধারাবাহিকতা নিয়ে। ১৭ আসরে সপ্তমবার ৫০০ করেছেন আইপিএলে। এই তথ্য তুলে ধরলে স্ট্রাইকরেটে প্রসঙ্গে চলে যান কোহলি। ভারতের এই তারকা ব্যাটার বলেন, যেসব লোক স্ট্রাইক রেট এবং আমার স্পিন ভালো খেলতে না পারা নিয়ে কথা বলে, তারা এসব (পরিসংখ্যান) নিয়েই কথা বলে। আমার কাছে দলের জন্য ম্যাচ জয়ই আসল এবং এ কারণেই আপনি এটা ১৫ বছর ধরে করে যাবেন। আপনি দিনের পর দিন এটা করে যাচ্ছেন, আপনি দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। আমি জানি না, এমন পরিস্থিতিতে আপনারা কখনো পড়েছেন কি না। কিন্তু বক্সে বসে ম্যাচ নিয়ে কথা বলছেন।

এবার কোহলি রান করলেও তার স্ট্রাইকরেট নিয়ে হচ্ছে তুমুল সমালোচনা। সেরা ১০ রান সংগ্রাহকের মাঝে তারচেয়ে কম স্ট্রাইকরেট কেবল সাই সুদর্শন ও লোকেশ রাহুলের। এবারের আসরে কোহলি যে সেঞ্চুরি করেছিলেন সেটি ছিল ৬৭ বলের। আইপিএলের ইতিহাসে তা সবচেয়ে মন্থর সেঞ্চুরি।

কোহলি রান পেলেও প্রথম ৮ ম্যাচের মধ্যে ৭টাতেই হেরেছিল বেঙ্গালুরুর। শেষ দুই ম্যাচে আবার জয়ের ধারায় ফিরেছে তারা। কোহলি অবশ্য এসব সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে বলেন, আমার সত্যিই মনে হয় না, এটা একই ব্যাপার। আমার কাছে ব্যাপারটা হলো স্রেফ নিজের কাজ করে যাওয়া। লোকে খেলাটা নিয়ে তাদের ধারণা ও অনুমান নিয়ে কথা বলতেই পারে। কিন্তু দিনের পর দিন যারা কাজটা করে, তারাই জানে কী হচ্ছে সেখানে। আমার জন্য এখন এটা অনেকটা ‘মাসল মেমোরির’ ব্যাপার।

/আরআইএম

Exit mobile version