Site icon Jamuna Television

আপনি কি থ্যালোসোফিল? জেনে নিন লক্ষণ

বলা হয় আমরা প্রকৃতির সন্তান বা প্রকৃতির শিক্ষার্থী। তাই প্রকৃতির প্রতি আমাদের টান অনেকটা অস্বকার্য। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এটি অতিমাত্রায় হয়ে থাকে। কেউ কেউ বৃক্ষপ্রেমি হয়ে থাকেন। হয়তো ঘরের বারান্দায়, বা বাসার কোনো এক কোণে রেখে দেন নানা রকম তরু লতা।

কিন্তু আপনি জানেন কি সাগরপ্রেমিদের কী বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে? তাদের বলা হয়, থ্যালোসোফিল। এই শব্দটি হয়তো আপনাদের অনেকর কাছেই আজ নতুন। শব্দটির উৎপত্তি গ্রিক শব্দ থালাসা থেকে। থালাসা শব্দের অর্থ সাগর। সাগরপ্রেমি হলেই সে থ্যালোসোফিলএমন বলা যাবে না। যদি সাগর আপনাকে মাত্রার চেয়ে বেশি টানে তবে ধরে নিতে পারেন আপনার ভেতর থ্যালোসোফিলের লক্ষণ থাকতে পারে। তবে আসুন জেনে নেয়া যাক
লক্ষণগুলো কী কী।

১) অনেকে বিষণ্ণতায় ভুগলে সাগরের কাছে গেলে মন ভাল হয়ে যায়। সাগরে কাছাকাছি থাকলে আপনি অনেক বেশি কমফোর্ট ফিল করেন। ঝড় বৃষ্টি কিংবা আবহাওয়া যেমনই হোক আপনি সাগরে ঘুরতে পছন্দ করলে মনে করবেন আপনার ভেতর থ্যালোসোফিলের লক্ষণ বিদ্যমান।

২) আপনি শহরে থাকুন কিংবা কোনো বিজনেস ট্রিপে, যতো ভালো জায়গায় থাকুন, নিজেকে বদ্ধ মনে হয়। একমাত্র সাগর যেন আপনাকে মুক্ত অনুভব করাতে পারে। যদি এমন অনুভূতি কখনও মনে উঁকি দিয়ে থাকে তাহলে মনে করবেন আপনি এই সমস্যায় আছেন।

৩) ঘনঘন সি বিচে ঘুরতে যাওয়ার প্রবণতা একটি মারাত্মক লক্ষণ থ্যালোসোফিলের। হয়তো কিছুদিন আগেই ঘুরে এলেন কক্সবাজার কিংবা কুয়াকাটা। কিন্তু তবুও যেন মন ভরেনি। আবারও মন চাইছে যেতে সাগর পাড়ে। এমন হয়ে থাকলে আপনাকে ভাবতে হবে বিষয়টি নিয়ে।

৪) কখনও খেয়াল করেছেন কিনা ভেবে দেখুন, সাগরের আশপাশে এক আলাদা রকমের ঘ্রাণ থাকে। হতে পারে সেখানকার লবণের, বা বাতাসের। অনেকেই এমন ঘ্রাণ সহ্য করতে পারেন না। তবে থ্যালাসোফিলে ভোগা ব্যক্তিরা এসব খুবই পছন্দ করেন। তারা যেন এর জন্যই বেঁচে আছেন বলে মনে করেন।

৫) আরেকটি লক্ষণ হলো, কেউ কেউ তাদের স্বাপ্নের বাড়ি সাগর তীরে বানাবেন বলে ভেবে থাকেন। সে বাস্তবে হোক বা হোক, মনের মাঝে এক তীব্র আকাঙ্ক্ষা অনুভব করেন।

এটিএম/

Exit mobile version