Site icon Jamuna Television

‘শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে থাইল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে থাইল্যান্ড সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কৃষি উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা সুদৃঢ় করতে পারি। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগে থাইল্যান্ডকে আহ্বান জানিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরের বিস্তারিত তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়েও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে এ সময় উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। বলেন, গভর্নমেন্ট হাউসে আমি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে অংশগ্রহণ করি। মিয়ানমার থেকে রিফিউজি হিসেবে আমাদের এখানে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে আমরা আলোচনা করেছি। মিয়ানমারের ওপর থাইল্যান্ডের একটা প্রভাব আছে। সেক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি এটা আরও গভীরভাবে দেখবেন। প্রত্যাবর্তনের যতটা সহযোগিতা দরকার সেটা তিনি করবেন। এ ব্যাপারে তিনি কথা দিয়েছেন। মিয়ানমারের এই বিষয়টি নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। বর্তমান যে পরিস্থিতি চলছে সেটা নিয়ে থাইল্যান্ডও বেশ উদ্বিগ্ন। তবুও এটা চেষ্টা চলবে, এটুকু আশ্বাস দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও আমদানি-রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পর্যালোচনার পাশাপাশি অন্যান্য অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে— বিনিয়োগ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, সাংস্কৃতিক বিনিময়, পর্যটন সহযোগিতা, জ্বালানি নিরাপত্তা, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, স্থল এবং সমুদ্র সংযোগ, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা।

২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনারের প্রার্থিতা লাভের জন্য এ সফর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

/এমএন

Exit mobile version