Site icon Jamuna Television

মিল্টন সমাদ্দারের ৯০০ মরদেহ দাফনের তথ্য মিথ্যা: ডিএমপি ডিবিপ্রধান

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের দেয়া ৯০০ মরদেহ দাফনের তথ্য মিথ্যা বলে অভিহিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর ২টায় রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

ডিবিপ্রধান জানান, মিল্টন সমাদ্দার স্বীকার করেছে যে, ৯০০ মরদেহ দাফনের তথ্য মিথ্যা। সে এসব বলেছে, যাতে সামাজিকমাধ্যমে মানুষ তাকে টাকা পাঠায় এবং মানুষ তাকে টাকা পাঠাতো। মিল্টন মোট ১৩৫ মরদেহ দাফন করেছে বলে স্বীকার করেছে কিন্তু সেটারও এখন পর্যন্ত সঠিক হিসেব আমরা পাইনি।

হারুন অর রশীদ আরও জানান, মিল্টন সামাদ্দার তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অধিকাংশ অভিযোগই স্বীকার করেছে। তিনটি মামলার মধ্যে দুটি মামলায় আমরা তাকে রিমান্ডে এনেছিলাম। ভুয়া ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করে মরদেহ দাফনের বিষয়টিও সে নিজেই স্বীকার করেছে। এছাড়া, ভিআইপিদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় সে কাউকে পরোয়া করতো না।

তিনি আরও জানান, মিল্টন নিজেই অপারেশনের নামে ব্লেড দিয়ে আশ্রিতদের গায়ে কাটাছেঁড়া করতো। তারা আর্তনাদ করলেও এতে মাদকাসক্ত মিল্টন পৈশাচিক আনন্দ পেতো। মানবতার ফেরিওয়ালা সেজে যারা মানুষকে সেবা করার কথা বলছে, তাদের সকলের কার্যক্রমের ওপরই নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান ডিবিপ্রধান।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি ও আর্থিক অনিয়ম, জমি দখল, নির্যাতনসহ অনেক অভিযোগ ওঠে। এরপরই সামাজিকমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। চার দিনের মাথায় তাকে রিমান্ডে পাঠান আদালত।

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। জাল মৃত্যু সনদ তৈরি ও আশ্রমের টর্চার সেলে মানুষজনকে মারধর করার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। এছাড়া, মানবপাচারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়।

/এএম

Exit mobile version