Site icon Jamuna Television

আবারও চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু, তবে নেই গবেষণার উদ্যোগ

রাজধানীর কমলাপুরে থাকেন পিরোজপুরের বাসিন্দা ইমন। তিনদিন ধরে মুগদা জেনারেল হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন তিনি। জ্বরের তীব্রতায় এখনও জড়িয়ে আছেন শীতের পোশাক। একই হাসপাতালে গত পাঁচদিন ধরে মুগদার নাজমাও ডেঙ্গুর সাথে লড়ছেন।

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হাসপাতালে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, আক্রান্তদের মধ্যে ৩২ জন মৃত্যুবরণ করেন। মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৮ জন নারী ও ১৪ জন পুরুষ। ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি পুরুষ। আর মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫৬ শতাংশের বেশি নারী। এই মৃত্যুহার গতবছরের ভয়াবহতার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।

মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক নিয়াতুজ্জামান বলেন, এ বছর প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে আসছে। ডেঙ্গু ওয়ার্ড কখনোই শূন্য হয়নি। সার্বক্ষণিক হাসপাতালে রোগীদের প্লাজমা ও প্লাটিলেট দেয়া এবং সিবিসি টেস্টের ব্যবস্থা আছে। তবে কিছু রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পরেও, তা না বুঝার কারণে দেরিতে হাসপাতালে আসছে। এ কারণে অনিবার্য মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না।

গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ অন্যান্য সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো, এই দায় রোগীদের ওপরই চাপিয়ে আসছে। কিন্তু এখনও ডেঙ্গু মোকাবেলায় কোনো গবেষণা হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক এমআইএস ডা. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, জেনিটিক্যালি পুরুষের তুলনায় নারীদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম থাকে। এটি নারীদের মৃত্যুহার বেশী হওয়ার কারণ হতে পারে। এছাড়া পুরুষের তুলনায় নারীরা দেরিতে হাসপাতালে আসেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গবেষণা প্রসঙ্গে ডা. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, গবেষণা বলতে যেটি বুঝায়, তা হয় না। প্রতিটি ডেঙ্গু রোগীর তথ্য যাতে সিস্টেমে থাকে, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু হাসপাতালে তথ্য সংগ্রহের জন্য পাইলটিং শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, এর আগে করোনা আক্রান্তের তথ্য সংগ্রহে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে তথ্য দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৭০৫ জন মৃত্যুবরণ করেন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

/আরএইচ

Exit mobile version