রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের জেরে রোববার কুরুক্ষেত্রে পরিণত হয় শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো। তীব্র রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে একজনকে হত্যা করা হয়। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমাসিংহের একজন দেহরক্ষী দাঙ্গাকারীদের দিকে গুলি ছোড়ার পর ওই ব্যক্তি নিহত হন। খবর বিবিসি।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর প্রিয়ভাজন নেতা ছিলেন সাবেক জ্বালানি মন্ত্রী অর্জুনা রানাতুঙ্গা। আজ সোমবার থেকে সাবেক জ্বালানি মন্ত্রী রানাতুঙ্গাকে গ্রেফতারের দাবিতে দেশজুড়ে ধর্মঘট করছেন শ্রমিকরা। ফলে বন্ধ রয়েছে জ্বালানি সরবরাহ।
রোববারের ঘটনায় জাতীয় জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সামনে গোলাগুলিতে হতাহত হন বেশ কয়েকজন। এরপরই, উঠে সাবেক জ্বালানি মন্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট খাতের শ্রমিকদের।
এ পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার দাবি তাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের দায়েই বরখাস্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
এদিকে গণতন্ত্র অক্ষুন্ন রেখে শ্রীলঙ্কার সরকারকে শিগগিরই রাজনৈতিক সংকট নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মহল। উদ্বিগ্ন প্রতিবেশী দেশগুলোও।
চলমান রাজনৈতিক সংকটের প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। ডলারের বিপরীতে অপেক্ষাকৃত দুর্বল শ্রীলঙ্কান রুপি। রোববারও, শূন্য দশমিক ছয় শতাংশ দরপতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় লেনদেন।

