Site icon Jamuna Television

লুৎফুর রহিমের সংগ্রহশালায় বিভিন্ন প্রজন্মের দুই শতাধিক দুর্লভ ক্যামেরা

প্রবীর বিশ্বাস, খুলনা:

পুরাতন ক্যামেরার বিরল সংগ্রহশালা গড়ে তুলেছেন খুলনার এক সৌখিন সংগ্রাহক লুৎফুর রহিম। উন্নয়ন কর্মী লুৎফুর রহিমের শুধু ক্যামেরা নয়, রয়েছে লেন্স, ফ্ল্যাশ, ফিল্মসহ ক্যামেরার আনুষাঙ্গিক জিনিসও। প্রযুক্তির এই যুগে, কয়েক দশক আগের ঐতিহাসিক এসব সামগ্রী সংরক্ষণ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা অন্যতম লক্ষ্য।

লুৎফুর রহিমের সংগ্রহশালায় আদি ক্যামেরার সংগ্রহ দেখে চোখ ধাঁধাবে যে কারো। প্রায় ৭০টি কোম্পানির দুই শতাধিক ক্যামেরা রয়েছে তার সংগ্রহশালায়। শত বছর আগের পেঙ্গুইন, বুলেক্স ও ব্রোইনি, লিনডারসহ রয়েছে প্রাচীন সব ক্যামেরা। আছে ৮০ বছর আগের সিনেমা প্রদর্শনীতে ব্যবহৃত অ্যারিফ্লেক্স, প্রোজেক্ট ও রিল। ক্যামেরার আনুষাঙ্গিক পুরাতন যন্ত্রাংশও রয়েছে এই সংগ্রহশালায়।

বিষয়টি নিয়ে সংগ্রাহক জিকেএম লুৎফুর রহিম বলেন, সবকিছু দ্রুতই পরিবর্তন হচ্ছে। আগামী ৫০ বছর পরে হয়তো এগুলোও থাকবে না। আমাদের আগে কী ছিল, কত ধরনের জিনিস ছিল, কী ধরনের ক্যামেরা ছিল সেসবের সাথে নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

গেল ৫ দশকের সংগ্রহ সাধারণ মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে সম্প্রতি খুলনার এনজিও ফোরামে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। প্রদর্শনীতে ভিড় জমায় নানা বয়সী মানুষ। এ নিয়ে উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেন দর্শনার্থীরা।

বিষয়টি নিয়ে এক দর্শনার্থী বলেন, ক্যামেরার যে এতগুলো জেনারেশন ও এতো মডেল আছে এখানে না এলে জানতামই না। প্রদর্শনীতে গিয়ে তিনি খুবই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। আরেক দর্শনার্থী বলেন, সিনেমা বানানোর কাজে আগে কী ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করা হতো সেটি তিনি সেখানে গিয়ে জেনেছেন।

দেশের বিভিন্ন স্থানে এরকম প্রাচীন জিনিস সংগ্রহকারীদের উৎসাহে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রয়োজন বলে মনে করেন ক্যামেরা সংগ্রহকারী লুৎফুর রহিম। তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেক সংগ্রাহক রয়েছে। জাতীয়ভাবে একদিন সংগ্রাহক দিবস ঘোষণা করা যেতে পারে। সেটি হবে শখের দিবস। তাহলে এসব প্রাচীন স্মৃতি সংগ্রাহকরা উদ্বুদ্ধ হবে।

/এনকে

Exit mobile version