Site icon Jamuna Television

পেঁয়াজ-রসুন সংরক্ষণে কৃষি বিভাগের মডেল ঘরে ভাগ্য ফিরবে কৃষকদের?

পেঁয়াজ সংরক্ষণে রাজবাড়ীর কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে কৃষি বিভাগ। তৈরি করে দেয়া হচ্ছে মডেল ঘর। যেখানে আধুনিক পদ্ধতিতে ৬ থেকে ৯ মাস পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যায়। তবে কৃষকরা বলছেন, সংরক্ষণের জন্যে আরও মডেল ঘর প্রয়োজন। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। তাদের দাবি, সংরক্ষণ কার্যক্রম যথাযথ হলে, বছরজুড়েই বাজার স্থিতিশীল রাখা সম্ভব। এতে নায্যমূল্য পাবেন কৃষক। ক্রেতারাও পাবেন স্বস্তি।

পেঁয়াজ আবাদে সমৃদ্ধ জেলা রাজবাড়ী। দেশের ১৬ শতাংশ পেঁয়াজ উৎপাদন হয় এখানে। কিন্তু সংরক্ষণের সুব্যবস্থা না থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েন কৃষকরা। ভরা মৌসুমেই অল্প দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন। উৎপাদন খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে পড়েন।

সময়ের সাথে প্রেক্ষাপট পাল্টাচ্ছে। পেঁয়াজ সংরক্ষণ ও পচন রোধে নির্মাণ করা হয়েছে মডেল ঘর। কংক্রিটের পিলারের ওপর ২৫ ফুট লম্বা ও ১৫ ফুট চওড়া বাঁশ-কাঠ দিয়ে তৈরি সংরক্ষণ ঘরটি। খরচ পড়ছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। এখানে ৯ মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ করা যায়।

রাজবাড়ীর কালুখালীতে ২০টি মডেল ঘর নির্মাণ এবং হস্তান্তর হয়েছে। চলছে সংরক্ষণ কার্যক্রম। বালিয়াকান্দিতে চলছে ৩০ মডেল ঘর নির্মাণের কাজ চলছে।
চলতি বছর জেলায় ৩৬ হাজার জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ টন।

এটিএম/

Exit mobile version