Site icon Jamuna Television

কানের স্বর্ণপাম লুফে নিলো জাপানের স্টুডিও জিবলি

স্টুডিও জিবলির পক্ষে স্বর্ণপাম পুরস্কার গ্রহণ করেন গোরো মিয়াজাকি। ছবি: গেটি ইমেজ

অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নির্মাতা হায়াও মিয়াজাকি প্রতিষ্ঠিত স্টুডিও জিবলি। জগদ্বিখ্যাত বহু অ্যানিমেশন সিনেমা এখান থেকে নির্মিত হয়েছে। কান চলচ্চিত্র উৎসবের এবারের আসরে সম্মানসূচক স্বর্ণপাম বা ‘পামদর’ জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করলো জাপানের এই স্টুডিওটি। ২২ বছর ধরে কানের এই সম্মানসূচক পদক এবারই প্রথম কোনো প্রতিষ্ঠান পেলো।

সোমবার (২০ মে) ৭৭তম কানের আসরে স্বর্ণপাম জয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে এসময় স্টুডিও জিবলি, জিবলি মিউজিয়াম ও জিবলি পার্কের পক্ষ থেকে এই পদক গ্রহণ করেন হায়াও মিয়াজাকির ছেলে গোরো মিয়াজাকি।

তার হাতে এটি তুলে দেন এবারের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারক প্যানেলে থাকা স্প্যানিশ পরিচালক হুয়ান আন্তোনিও বায়োনা। মঞ্চে তখন ছিলেন কান উৎসবের পরিচালক থিয়েরি ফ্রেমো ও সভাপতি ইরিস নোব্লোক।

থিয়েরি ফ্রেমো তার বক্তব্যে বলেন, সবাই আজ এখানে এসেছি, কারণ আমরা জাপানি অ্যানিমেশনে বুঁদ হয়ে আছি। প্রথমবারের মতো ইরিস নোব্লোক ও আমি কোনো সৃজনশীল ব্যক্তির পরিবর্তে একটি স্টুডিওকে সম্মানসূচক স্বর্ণপাম দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কী দারুণ একটি স্টুডিও! গোরো মিয়াজাকির প্রতিনিধিত্ব করা স্টুডিও জিবলিকে এটি দেয়া হচ্ছে।

গোরো মিয়াজাকি নিজেও অ্যানিমেটেড ছবি পরিচালনা করেছেন। এছাড়া, স্টুডিও জিবলির হেড অব ক্রিয়েটিভ ডেভেলপমেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সম্মানসূচক স্বর্ণপাম গ্রহণের পর তিনি বলেন, যখন আমরা ‘দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন’-এর জন্য অস্কার জিতেছি, তখন জিবলি প্রতিনিধিরা একটি মূর্তি নিয়ে বাড়িতে আসেন। কিন্তু এটি কোনো বাক্সে ছিল না। এজন্য তারা এটি হোটেলের তোয়ালেতে মুড়িয়ে রেখেছিলেন। তাই এই স্বর্ণপাম সুন্দরভাবে বাক্সে সাজানো দেখে আমি খুব খুশি!

উল্লেখ্য, কান চলচ্চিত্র উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বর্ণপাম। মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত ছবিগুলোর মধ্যে একটিকে এই স্বীকৃতি দেয়া হয়। এছাড়া, ২০১৫ সাল থেকে কান উৎসবের প্রতিটি আসরে দেয়া হচ্ছে সম্মানসূচক স্বর্ণপাম। আর প্রতিবারই এই সম্মানে ভূষিত হয়ে আসছে কোনো না কোনো ব্যক্তি। সেই রীতিতে এবারই আনা হলো পরিবর্তন।

/এএম

Exit mobile version