Site icon Jamuna Television

শৈশবে ঠিক করা বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় তরুনীর বিষপান

অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানের শৈশবেই কোনো ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির সন্তানের সাথে বিয়ে দেবেন বলে ঠিক করে রাখেন। তেমনই ঠিক করে রেখেছিলেন দিব্যা চৌধুরীর বাবা-মাও। তখন দিব্যার বয়স মাত্র ৩ বছর। পড়াশোনায় মেধাবী এই মেয়েটি যখন বড় হতে থাকে, প্রতিশ্রুত পরিবারের পক্ষ থেকে চাপ আসতে থাকে বিয়ের।

কিন্তু ওই ছেলেকে বিয়ে করতে চান না দিব্যা। তার মনোযোগ পড়াশোনায়। মেয়েটির মনে হয়েছে, প্রতিশ্রুত ছেলেটিকে বিয়ে করলে তার ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন থমকে যাবে। ওদিকে কিন্তু চাপ বেড়েই চলেছে। মেয়ের পরিবার এখন রাজি না হওয়ায় ছেলেপক্ষ বিচার দেন পঞ্চায়েতের কাছে।

সালিশ শেষে সিদ্ধান্ত হয় প্রতিশ্রুতি না রাখতে পারায় ১৬ লাখ রুপি জরিমানা দিতে হবে মেয়ের পক্ষকে। সেটা দেয়া হল। তবু উৎপাত কমলো না ছেলেপক্ষের। মোটা অংকের এই টাকা নিয়েও তারা আবার মেয়েকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। বাধ্য হয়ে ‍পুলিশের আশ্রয় নিলেন দিব্যা চৌধুরী।

কিন্তু পুলিশ নির্বিকার! উল্টো এতে আরো ক্ষেপে গেল পঞ্চায়েতপক্ষ। তাদের বিচারের পরও কেন পুলিশে যাওয়া হলো, এই অভিযোগে জরিমানা করা হলো নতুন করে আরও ২০ লাখ রুপি! পাশাপাশি জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে মেয়েকে। অন্যথায় একঘরে হয়ে থাকতে হবে এলাকায়।

এত নিপীড়নের মুখে আবারও থানায় পুলিশের কাছে কাছে যান ওই তরুণী। আশা ছিল, হস্তক্ষেপ করবে আইনশৃংখলা বাহিনী। কিন্তু কোনো অভিযোগ নিতে অপারগতা জানায় পুলিশ। এতে রাগে-ক্ষোভে পুলিশের সামনেই বিষ পান করেন দিব্যা। যদিও শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে নেয়ার পর সেরে উঠেছেন তিনি।

রাজস্থানের জোদপুর এলাকার এ ঘটনা ভারতের সংবাদমাধ্যমে খবরটি চাউর হওয়ার পর এখন অভিযোগ নিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে পঞ্চায়েতের ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে। পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Exit mobile version