Site icon Jamuna Television

মাছ চুরির মামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে যা বলবেন ডা. জাফরুল্লাহ

আমি সমাজতন্ত্রী। ব্যক্তিগত সম্পদে বিশ্বাস করি না। আমার নামে মাছ চুরির মামলা দেয়া হয়েছে। এটা কোনো কথা। এটা হয়রানি ছাড়া কিছুই না। এসব কথা বলেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ সন্ধ্যা ৬টায় যমুনা টিভিতে প্রচারিত টকশো ‘রাজনীতি’তে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। টকশোটির সঞ্চালনা করেন রোকসানা আনজুমান নিকোল।

ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আগামীকাল গণভবনে সংলাপে যাচ্ছেন ডা, জাফরুল্লাহ। সেখানে দেখা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। দেখা হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীকে মাছ চুরির মামলার বিষয়ে কিছু বলবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে যদি জিজ্ঞেস করে তখন বলবো, চোরাই মাছ আপনার কাছে পাঠিয়েছিলাম, খেয়ে আনন্দ পেয়েছেন তো।

এরআগে আলোচনায় অংশ নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী প্রাণবন্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান। আমাদের সংলাপের বিষয়বস্তু আমরা লিখিতভাবে জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী যে কথাগুলো বারেবারে বলেন- সুষ্ঠু নির্বাচন, জনগণকে ভোটের অধিকার দেয়া। আমি আশা করি, তিনি তার কথাগুলো কাজে পরিণত করবেন।

সংলাপ হলে দেখা যায় দুই পক্ষের কঠোর মনোভাব থেকে কিছুটা সরে আসে, ছাড় দেয়। আপনারা সাত দফা দাবি নিয়ে অনড়। যদি ছাড় দেয়ার বিষয় আসে তাহলে আপনারা কোন বিষয়টি ছাড় দিতে প্রস্তুত আছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রাক্কালে সকল রাজনৈতিক কর্মীদের নামে গায়েবি মামলা, হয়রানি মামলা দেয়া হচ্ছে। লাখ খানেক নেতাকর্মীদের আটকে রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন, এটা আলোচনা করা যাবেনা। এটা অযৌক্তিক। আলোচনা হবে না। নির্বাচনে সাংবাদিকরা, বিদেশী পর্যবেক্ষকরা দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ঘুরে বেড়াবে। তিনি যদি মনে করেন, এটা অযৌক্তিক। আলোচনা হবে না। কোটা সংস্কার আন্দোলন যারা করেছিলো, তাদের কিছু লোক এখনও আটকে আছে তাদের মুক্তির বিষয়ে তিনি যদি বলেন, এটা অযৌক্তিক। তাহলে ব্যক্তিগত ভাবে আমি সেটা খুশিমনে মেনে নেবো। কোনটা খুশিমনে মেনে নেবেন জানতে তাইলে তিনি বলেন, সাত দফা সরকার চাইলে মানতে পারেন। এটার সাথে সংবিধানের কোনো প্রতিবন্ধকতা নাই। একটা জায়গাতে একটু থমকে যেতে হবে। সেটা হলো ১ নম্বর দাবিটা। সেটা নিয়ে আলাপ করবেন। আর সংলাপ তো একদিনেই শেষ না। দেখা যাক কি হয়।

আওয়ামী লীগ বলছে, সাত দফার অধিকাংশই সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। এর প্রেক্ষিতে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, এটা কথার কথা বলেছে। আপনারা আলোচনায় বসার আগে প্রধানমন্ত্রীর হাত-পা বেঁধে দেবেন না।

আপনারা কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে নাকি সরকারের সাথে সংলাপ চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সরকারের সাথে সংলাপ করতে চেয়েছি। আমাদের ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখেছেন। উনি আওয়ামী লীগেরও প্রধান। তাই চিঠিতে সেটিও উল্লেখ করা হয়েছে।

Exit mobile version