স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, শেরপুর:
শেরপুরের নকলার পৌরশহরের কায়দা বাজারদী গোরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন প্রয়াত অভিনেত্রী রিশতা লাবনী সীমানা। মঙ্গলবার (৪ জুন) ভোরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান দেশের গুণী এই অভিনেত্রী।
মৃত্যুকালে সীমানা তার স্বামীর সঙ্গে রেখে গেছেন দুই শিশুপুত্র শ্রেষ্ঠ (৭) ও স্বর্গকে (৩)। তার বাড়ী নকলা পৌরসভাধীন কায়দা বাজারদী এলাকায়। তার পিতা সেকান্দার আলী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সীমানা সবার বড় ছিলেন। আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে নকলার কায়দা বাজারদী গোরস্থান মাঠে মাঠে তার জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, গত ২১ মে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে আট দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন সীমানা। অবস্থার অবনতি হলে ২৯ মে এই অভিনেত্রীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে এই অভিনেত্রীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভেন্টিলেশনে শেষ চেষ্টা হিসেবে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। কিন্তু আর ফেরা হলো না সীমানার। পেরিয়ে গেলেন পৃথিবীর সীমানা।
উল্লেখ্য, নকলা ললিতকলা একাডেমি, খেলাঘর, কোর্টফিল্ড, কমল ওস্তাদজী, শিল্পকলায় অভিনয় চর্চা করতেন সীমানা। এরপর বিটিভিতে কাজ করা শুরু করেন। তারপর ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন সীমানা। এরপর থেকে তিনি নাটক, বিজ্ঞাপনে নিয়মিত কাজ করেন। তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’ তার প্রথম সিনেমা। ‘রোশনী’ নামের একটি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। সীমানার উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে সাকিন সারিসুরি, কলেজ স্টুডেন্ট।
/এমএইচ