সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। বলেছেন, ব্যবস্থা নেয়া না হলে আরও যারা বেনজীর আছেন, তারা আস্কারা পাবেন। বেনজীরের দুর্নীতিতে প্রমাণিত হয়েছে, সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ।
বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি তুলেন। সাবেক এই আইজিপির অনিয়ম–দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য তিনি এ সময় তুলে ধরেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, কয়েক দিন আগে ৮০ কোটি টাকা ব্যাংক থেকে তুলে বিদেশে চলে গেলেন বেনজীর। তিনি বিদেশে চলে গেছেন কি না, তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানেন না বলেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানবেন না কেন— এই প্রশ্ন রেখে মুজিবুল হক বলেন, সারাদেশে আলোচিত এই ব্যক্তি ইমিগ্রেশন পার হয়েছেন। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তা সরকারকে জানায়নি, তাহলে সব কর্মচারীকে বরখাস্ত করা উচিত।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বিরোধী দলের কোনো নেতা চিকিৎসার জন্য গেলে তাদের দুই ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। আর এ রকম একজন ব্যক্তি বিদেশে চলে যাবেন, সরকার জানবে না, তা হতে পারে না। এত বাহিনী, এত এজেন্সি তারা কী খবর রাখে— এমন প্রশ্নও করেন জাপা মহাসচিব?
সরকারের দায় নেই বললে মানুষ তা মানবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এই সরকারের আমলে বেনজীর আহমেদের পদোন্নতি, পোস্টিং হয়েছে। এই সরকারের আমলে দুর্নীতি করে তিনি এসব সম্পদ গড়েছেন।
এরপর একই বিষয়ে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নেন স্বতন্ত্র এমপি আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তিনিও এই ইস্যুতে সমালোচনা করেন। পরে সরকারি দলের সংসদ সদস্য তারানা হালিমও এ নিয়ে ছেড়ে কথা বলেননি।
তারানা হালিম বলেন, সংসদ আজ এক জায়গায় দাঁড়িয়েছে। সরকারি দল, বিরোধী দল এবং স্বতন্ত্র সদস্যরা একই ইস্যুতে একই সুরে দাবি তুলেছে।
/এমএন

