Site icon Jamuna Television

হৃদয় জয় করেছেন বাংলাদেশের হৃদয়

ইউসুফ ভূঁইয়া

মায়ের গহনা বিক্রি করে বগুড়া থেকে ঢাকায় ক্রিকেট খেলতে আসেন। করেন অবিচল পরিশ্রম। সে ক্রিকেটার আজ লাল সবুজের জার্সির প্রতিনিধিত্ব করছেন। টি-টোয়েন্টিতে খেলছেন নিজের স্বপ্নের ক্রিকেটারের পজিশনে। তার নাম তাওহীদ হৃদয়।

বাংলাদেশ দলে হৃদয়ের সবচেয়ে পছন্দের খেলোয়াড়ের নাম মুশফিক। শুধু তাই নয়, টেকনিক্যালি বাংলাদেশের সেরা ব্যাটারকেই নিজের আইডল মানেন। তাদের দু’জনের মধ্যে আরেকটি বড় মিল রয়েছে। দুজনেই বগুড়া জেলা থেকে উঠে আসা খেলোয়াড়। ব্যাটিং পজিশনেও মিল রয়েছে দুজনের। সাদা বলের ক্রিকেটে জাতীয় দলে খেলছেন মুশফিকুর রহিমের ৪ নম্বর ব্যাটিং পজিশনে।

মুশফিকের মতো তিনিও এখন ধীরে ধীরে জাতীয় দলের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠছেন। এরইমধ্যে বেশ কিছু ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে হৃদয় জিতে নিয়েছেন কোটি মানুষের হৃদয়।

গত বছর টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া এই ব্যাটারকে ঘিরে বাংলার মানুষের প্রত্যাশার পারদ অনেক ওপরে। বিশ্বকাপের চলতি আসরে প্রথম দুই ম্যাচে দর্শকদের সব চাওয়া যেন একা হাতে পূরণ করছেন তিনি। ছোট রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রতি ম্যাচে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ছে বাংলাদেশ। দলের ‘ত্রাণকর্তা’ হিসেবে হাল ধরছেন তাওহীদ হৃদয়। হচ্ছেন টাইগারদের নতুন আশার আলো।

ভূপাতিত হলেও ‘ইতিবাচক’ হৃদয়। লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচে।

অন্যান্য ব্যাটাররা যখন একশ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করতে অসমর্থ হচ্ছেন, তখন হৃদয় রয়েছেন তার আপন ছন্দে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে তার স্ট্রাইকরেট ২০০ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে ৩৪ বলে ৩৭ রানের ইনিংস। টি-টোয়েন্টিতে কীভাবে খেলতে হয়, সেটাই যেন হৃদয় দেখিয়ে যাচ্ছেন এই বিশ্বকাপে।

অল্প সময়ের মধ্যে বেশ কিছু রেকর্ডের খাতাতেও নাম লিখিয়েছেন এই নির্ভীক ব্যাটার। ক্রিকেটের ক্ষুদে সংস্করণে বাংলাদেশের পক্ষে (কমপক্ষে বিশ ম্যাচ) এই মুহূর্তে সবচেয়ে ভালো স্ট্রাইকরেট তার, ১৩৩। যুব বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা চলতি আসরে যেভাবে শুরু করলেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে দূরের পথ পাড়ি দিতে পারবেন বলে অনেকের বিশ্বাস।

আগামী ম্যাচগুলোতেও যদি ‘হৃদয় জাদু’র ছোঁয়া পায় দল, তাহলে আগের সব কীর্তি ছাপিয়ে নিঃসন্দেহে তিনি হবেন ‘বিশ্বকাপের হিরো’।

/এএম

Exit mobile version