Site icon Jamuna Television

প্রথমবারের মতো বিদেশি শ্রমিক নেবে জাপান

বিদেশি শ্রমিকদের জন্য দুয়ার খুললো জাপান। কৃষি, নির্মাণ, হোটেলসহ নানা খাতে জনবল সংকট দূর করতে বিদেশ থেকে শ্রমিক নেবে দেশটি। দক্ষ শ্রমিকরা জাপান যেতে পারবেন পরিবার নিয়ে। শুক্রবার এ সুযোগ রেখে, বিল পাস করেছে দেশটির মন্ত্রিসভা। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের রক্ষণশীল অভিবাসন নীতি থেকে বেরিয়ে এলো সূর্যোদয়ের দেশ।

বিশ্বজুড়ে বিপদের বন্ধু ও উদার হিসেবে পরিচিত হলেও, অভিবাসীদের ব্যাপারে বরাবরই কঠোর ছিলো জাপান। ১৩ কোটি মানুষের দেশে বিদেশির সংখ্যা টেনেটুনে ২০ লাখ। রক্ষণশীল অভিবাসন নীতির কারণে, সাধারণ শ্রমিক তো দূরের কথা দক্ষ জনশক্তিরও জায়গা মেলে না সূর্যোদয়ের দেশে।

অনেকটা বিপদে পড়েই অবশেষে অভিবাসীদের জন্য দুয়ার খুলতে বাধ্য হলো অর্থনৈতিক পরাশক্তি জাপান। জন্মহার নেতিবাচক হওয়ায় প্রতিবছরই মানুষের সংখ্যা কমছে দেশটিতে। সেই সাথে সবখাতেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনবল সংকট। সামাল দিতে, শুক্রবার, অভিবাসন আইন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপানের মন্ত্রিসভা।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনবো আবে বলেন, আমরা এমন একটা সময়ে বসবাস করছি যেখানে কেউ এককভাবে কোনো কিছুই করতে পারবে না। সুষ্ঠু সুন্দর পৃথিবীর জন্য সবাইকে নিয়েই কাজ করতে হবে। তাই আমরা অভিবাসী শ্রমিকদের জাপানে সুযোগ করে দিতে চাই। নিজস্ব সংকট সমাধানের পাশাপাশি বহুমুখি অভিজ্ঞতা নেয়াও আমাদের লক্ষ্য।

এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে, প্রথমবারের মতো সাধারণ শ্রমিক হিসেবে জাপানে, কাজের অনুমতি পাবেন, অভিবাসীরা। ভিসা দেয়া হবে দুই ক্যাটাগরিতে। দক্ষ ও অভিজ্ঞ শ্রমিকরা সপরিবারের দীর্ঘমেয়াদে থাকতে পারবেন জাপানে। যাদের অভিজ্ঞতা-দক্ষতা কম, তারা ভিসা পাবেন পাঁচ বছরের জন্য।

বিরোধীরা, অভিবাসন নীতির এ পরিবর্তনকে দেখছেন, জাপানি সংস্কৃতির জন্য হুমকি হিসেবে। তবে, বেশিরভাগ মানুষই বলছেন, অভিবাসীদের দ্বারা সমৃদ্ধ হবে জাপানিরাও।

সামনে অলিম্পিক আসরকে কেন্দ্র করে মহাপরিকল্পনা নিয়েছে আবে প্রশাসন। সেগুলো বাস্তবায়নে প্রচুর জনবল প্রয়োজন। তাই এমন সিদ্ধান্তের কোনো বিকল্প ছিলো না।

জাপানি গণমাধ্যম বলছে, নির্মাণ, কৃষি ও হোটেল শিল্পে এই মুহুর্তে জনবল সংকট সবচেয়ে বেশি। শ্রমিক নেয়ার নতুন নীতি কার্যকর হবে এপ্রিল থেকে।

Exit mobile version