Site icon Jamuna Television

অলিম্পিকে খেলার ব্যাপারে যা বললেন মেসি

ক্যারিয়ারে এমন কোনো শিরোপা নেই, যেটি জেতার আক্ষেপ রয়েছে লিওনেল মেসির। অর্জনের ঝুলিতে তার রেকর্ড ভুরিভুরি। রয়েছে আরও কত কীর্তি। গুঞ্জন ছিলো প্যারিস অলিম্পিকে দেখা যেতে পারে ফুটবলের এই ক্ষুদে জাদুকরকে। সেই গুঞ্জন আরও জোরালো হয় আর্জেন্টিনা অলিম্পিক দলের কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানোর কথায়। অলিম্পিকে তিনি নাকি চান মেসি, ডি-মারিয়াকে। তবে সব জল্পনা-কল্পনার আবসান ঘটিয়ে মেসি নিজেই জানালেন, অলিম্পিকে খেলার মতো সেই সুযোগ নেই তার।

৩৬ বছর বয়সী মেসি বর্তমানে কোপা আমেরিকা খেলতে সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামী ২০ জুন কানাডার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে আর্জেন্টিনার কোপা মিশন।

সম্প্রতি ইএসপিএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি নিজেই প্যারিস অলিম্পিকে না খেলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। কোপা আমেরিকার পরই অলিম্পিক শুরু হওয়াতে তার শরীরের উপর দিয়েও বেশ ধকল যাবে, যা এই বয়সে এসে মানিয়ে নেওয়াটা কষ্টসাধ্য বলে মনে করেন তিনি।

পুরুষদের অলিম্পিক টুর্নামেন্ট চলবে ২৪ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের এই প্রতিযোগিতায়, প্রতিটি দলে তিনজন বেশি বয়সী খেলোয়াড়ের নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়। যার কারণে মেসিকে নিয়ে এত আলোচনা। তবে ইন্টার মায়ামি তারকা বুধবার ইএসপিএন কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানোকে তিনি জানিয়েছেন, এটা তার পক্ষে সম্ভব হবে না।

মেসি বলেন, আমি মাশ্চেরানোর সঙ্গে কথা বলেছি এবং সত্যি কথা হলো আমরা দুজনই পরিস্থিতিটা বুঝতে পারছি। এই মুহূর্তে অলিম্পিক নিয়ে চিন্তা করা কঠিন, কারণ আমরা এখন কোপা আমেরিকার লক্ষ্য নিয়ে আছি। এর মধ্যে টানা দুই-তিন মাস ক্লাবের সঙ্গে থাকতে না পারার ব্যাপারটাও ভাবতে হবে। কারণ, সবকিছুর মধ্যে থাকার মতো বয়স আমার নেই। আমাকে সাবধানে নির্বাচন করতে হবে এবং টানা দুটি টুর্নামেন্ট একসাথে চালিয়ে যাওয়া আমার জন্য কঠিন।

এর আগে একবার অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের সৌভাগ্য হয়েছে মেসির। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকের ফাইনালে নাইজেরিয়াকে হারিয়ে উৎসব করেছিল আলবিসেলেস্তেরা।

এ প্রসঙ্গে মেসি বলেন, মাশ্চেরানোর সঙ্গে একসঙ্গে এটা জিতেছি। ফুটবল পর্যায়ে এটি একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা ছিল। অলিম্পিক, অনূর্ধ্ব-২০ স্মৃতি আমি কখনও ভুলব না। আমি আশা করি যে ছেলেরা আমার মতো একইভাবে এটি উপভোগ করবে, কারণ এটি বিশেষ কিছু। অলিম্পিক স্পেশাল, অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে আলাদা।

কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার হয়ে খেলার সময় মেসি অন্তত পাঁচটি ইন্টার মায়ামি ম্যাচ মিস করতে পারেন এবং অলিম্পিকে গেলে মায়ামির লিগ কাপসহ আরও কয়েকটি ম্যাচ মিস করতে পারেন লিও।

/এমএইচআর

Exit mobile version