Site icon Jamuna Television

রংপুর এক্সপ্রেসে কোচ নম্বর লেখা নেই, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

প্রতিটি ট্রেনের গায়ে কোচ নম্বর লেখা থাকবে এটিই সবসময় দেখে এসেছে সবাই। সেই কোচ নম্বর দেখে যাত্রীরা নিজ নিজ কোচে গিয়ে উঠে থাকেন। তবে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দেখা গেলো এর ব্যতিক্রম। ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে এসে পৌঁছায় রংপুর এক্সপ্রেস।

ট্রেনের গায়ে কোচ নম্বর না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। আসন না পেয়ে ছুটতে থাকেন দিকভ্রান্তের মতো। কর্তৃপক্ষের এমন গাফিলতিতে অসন্তোষ জানিয়েছেন যাত্রীরা।

রেলস্টেশন প্রাঙ্গণে বিষয়টি নিয়ে এক যাত্রী বলছিলেন, একটা কোচেও নম্বর নেই। কোন কোচে উঠবো তা বুঝতেছে পারছি না। এমনভাবে হয়রানির কোনো মানেই হয় না।

এক নারী যাত্রী জানান, তিনি ট্রেনের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত, আবার শেষ থেকে প্রথম পর্যন্ত খুঁজেছেন, কোনো কোনো কোচেই নম্বরের হদিস পাননি। এটি মানুষের জন্য ভোগান্তি না, এমন প্রশ্ন রাখেনি তিনি? আরেক যাত্রীর মতে, যাচ্ছেতাই চলছে। এমন অব্যবস্থাপনা আগে দেখেননি তিনি।

টুকটাক এমন অব্যবস্থাপনা থাকলেও আজ সকাল থেকে নির্ধারিত সময়ে কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে সব ট্রেন। আগেরদিনও যেখানে বেশির ভাগ ট্রেন ছেড়েছে বিলম্বে, একদিনের ব্যবধানেই ঠিকঠাক সব। ঈদে এই স্বস্থির যাত্রায় খুশি সবাই।

এ নিয়ে এক যাত্রী বলেন, ট্রেনের ভেতরে কোনো ভিড় নেই। অন্যবার লোকে লোকারণ্য থাকে ট্রেনগুলো। এবার ভেতরে যাত্রীদের গাদাগাদি নেই। আরামেই ঈদ করতে গ্রামে যাচ্ছি।

তবে আরেক যাত্রী অভিযোগ করেন, ট্রেনের টিকিট পেতে ভোগান্তি পেতে হচ্ছে যাত্রীদের। কালোবাজার ছাড়া টিকিট মিলছে না। ৫০০ টাকার টিকিট কালোবাজারে এক হাজার থেকে ১২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে যাত্রীদের।

এদিকে, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত দুইটি ঈদ স্পেশালসহ ৪৩টি আন্তঃনগর, লোকাল, মেইল, কমিউটার মিলিয়ে প্রতিদিন ৬৯টি ট্রেন কমলাপুর ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশনে আমাদের বিকল্প ইঞ্জিন রাখা আছে। ঢাকা স্টেশনেও আছে। কোথাও ইঞ্জিন বিকল হলে দ্রুত সময়ে এসব সংরক্ষিত ইঞ্জিনে সেবা দেয়া হবে। নির্ধারিত সময়ে সকল যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলওয়ের কর্মীরা কাজ করছেন বলে জানান তিনি।

/এনকে/এমএন

Exit mobile version