Site icon Jamuna Television

‘বাজেটে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের সহায়তায় কোনো উদ্যোগ নেই’

আলমগীর হোসেন:

অর্থনীতির বেশিরভাগ সূচকই নিম্নমুখী। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে চলমান অথনৈতিক সংকটকে অস্বীকার করা হয়েছে। প্রবৃদ্ধি, বেসরকারি বিনিয়োগ, রাজস্ব আদায়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ যেসকল লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তার বেশিরভাগই উচ্চাভিলাসী। বাজেটে এসব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয়। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের সহায়তায় কোনো উদ্যোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন অর্থনীতিবিদরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) অর্থনৈতিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) বাজেট পরবর্তী আলোচনায় এসব কথা বলেন অর্থনীতিবিদরা।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, যদি কালোটাকাকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সাদা করার উৎসাহ দেয়া হয়, তাহলে জাতি হিসেবে নৈতিকতার কোনো জায়গা থাকে না।

অর্থনীতিবিদ ড. এ কে এনামুল হক বলেন, কালো এবং অপ্রদর্শিত অর্থের মধ্যে পার্থক্য করা দরকার। এটি না করা হলে অর্থপাচার বাড়বে।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, সরকারের পরিচালনা ব্যয় ৪ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা। এর অর্থ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যা আয় করবে, তা সরকার পরিচালনায় ব্যয় হবে। জনগণের জন্য রাজস্ব বোর্ডের কোনো টাকা বরাদ্দ নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকার ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা নিয়ে নেবে। তখন গুলশান-বনানীর রেস্টুরেন্টগুলোতে আরও বেশি ভীড় হবে। এ সময় ব্যবসায়ীদের উজ্জীবিত না হওয়া ও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি না হলে কোথা থেকে কর আদায় করা হবে, এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।

বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক ড. মনজুর হোসেন বলেন, বাজেটে খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে চারবার রিসিডিউল করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ রকম নীতি থাকলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।

অপরদিকে ব্যাংক নির্ভর অর্থনীতিতে ব্যাংকের নাজুক অবস্থায় তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে এই খাতের সংস্কারে কমিশন গঠনের তাগিদ দিয়েছেন।

/আরএইচ

Exit mobile version