Site icon Jamuna Television

অনেকটাই জৌলুস হারিয়েছে রাজধানীর পোস্তার চামড়া আড়ত

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী পোস্তার চামড়া আড়ত অনেকটাই জৌলুস হারিয়েছে। হাজারিবাগ থেকে ট্যানারি সরিয়ে নেয়ার পর অনেকে আড়ত স্থানান্তর করেছেন, হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্প নগরীতে। বিপুল পরিমাণ বকেয়া আদায়ে ব্যর্থ হয়ে অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন। আড়াতদার ও পাইকাররা বলছেন, এবার ঈদের দিনেই চামড়া যাবে হেমায়েতপুরে।

একদিন পরই কোরবানির ঈদ। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি পশুর চামড়া সংগ্রহ করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। তাই আড়তগুলোতে চলছে শেষ সময়ে প্রস্তুতি। ধোয়া মোছার পাশাপাপাশি সংস্কার করে নিচ্ছেন অনেকে।

প্রতিটি আড়তেই আছে লবণের স্তূপ। দাম বাড়ার আশঙ্কায় আগেই মজুদ করেছেন ট্যানারি মালিকর। ঠিক করে রাখা হয়েছে লবণ লাগানোর মৌসুমী কর্মীও। তবে শঙ্কা আছে, পোস্তার আড়তে আশানুরূপ চামড়া আসবে কিনা? পাওনা টাকা না পেয়ে অনেকে ছেড়ে দিয়েছেন ব্যবসা। তাদের অভিযোগ এক দশক আগের বকেয়াও পরিশোধ হয়নি। পাওনা আদায়ে আড়তে আড়তে ঘুরছেন চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা।

বড় আড়তদার ও চামড়া ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হাজারিবাগ থেকে ট্যানারি সরিয়ে নেয়ার পর থেকেই সংকটের শুরু। বেশিরভাগই হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্প নগরীতে আড়ত সরিয়ে নিয়েছেন। তবুও সীমিত পরিসরে চামড়া প্রক্রিয়াকরণের প্রস্তুতি চলছে।

হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আফতাব খান বলেন, আগে ঢাকার শতভাগ চামড়াই পোস্তায় আসতো এবং এখানেই লবণজাত হতো। আমরা এখন সারা বাংলাদেশের ২০ শতাংশ চামড়া বেচা-কেনা করি। আর বাকি ৮০ ভাগ হেমায়েতপুর নাটোরসহ অন্যান্য জেলায় কেনা-বেচা হয়। এভাবে ব্যপারিদের অনেক টকা-পয়সা আটকে গেছে।

চলতি মৌসুমে এক লাখ ২০ পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন পোস্তার আড়ত মালিকরা।

এটিএম/

Exit mobile version