Site icon Jamuna Television

কোরবানি: পশু জবাইয়ের পর বাড়ির আঙ্গিনা থেকে সড়ক পরিষ্কারে করণীয়

রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। আত্মত্যাগের ঈদে হাট থেকে আনা কোরবানির পশু বাড়ির আঙ্গিনায়। সেই পশুর যত্নের পাশাপাশি বর্জ্য পরিস্কারের ঝক্কি তো আছেই।

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বেশিরভাগ ঘর-বাড়িতেই চলছে শেষ মুহূর্তের পরিষ্কার। কারণ পশু কোরবানীর পর আর কোন দিকে তাকানোর ফুরসত পাবেন না অনেক গৃহিনীই। তেমনই একজন গৃহিণী শামীমা আক্তার। ঈদকে সামনে রেখে ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করা নেয়া পার করছেন ব্যস্ত সময়।

তিনি বলেন, কোরবানি দেয়ার পর রক্তে থেকে যায় রোগ জীবাণু। তাই কোরবানীর পরে অ্যান্টিসেপ্টিক দিয়ে ধুয়ে দিয়ে হয়, যাতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে না পড়ে। যদি কোন অতিথি হুট করে চলে আসে এবং গন্ধ নাকে লাগছে; এরূপ পরিস্থিতি যাতে না হয় সেজন্য পুরো ঘরও অ্যান্টিসেপ্টিক দিয়ে পরিষ্কার করে রাখি।

পশু জবাইয়ের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি। এজন্য নিতে হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। কোরবানি দেয়া স্থানে প্রচুর পানি ঢালার বিকল্প নেই। আর পশুর রক্ত ও বর্জ্য যাতে খোলা অবস্থায় না থাকে সেজন্য পলিব্যাগের মুখ বন্ধ করে দিতে হবে সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ট্রাকে। ময়লা অপসারণের পর গরম পানিতে অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড মিশিয়ে ছিটাতে হবে।

চিকিৎসকরা বলছেন, পশু জবাইয়ের রক্ত যথাসময়ে পরিষ্কার করা না হলে; সেটি বাতাস ও পানিতে মিশে ছড়াতে পারে বিভিন্ন রোগব্যাধী।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, পশুর রক্ত থেকে নানা জাতীয় রোগ জীবাণু তৈরি হয়, যেটা প্রকারান্তরে বাড়ির অথবা চারপাশের সবাইকে, এমনকি কখনও কখনও গৃহপালিত পশুও আক্রান্ত হয়। ফলে ক্রমান্বয়ে মানুষ, পশুপাখি ও উদ্ভিদজগৎ সবকিছুকেই প্রভাবিত করে।

কোরবানির কথা মাথায় রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। নিয়োগ দেয়া হয়েছে ৯ হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী। এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘ঈদুল আজহা মাথায় রেখে স্যাভলন কমপক্ষে ৪ হাজার ৫শ’ লিটার, ৭ হাজার ঝুড়ি এবং ১৫শ’ লিটার ফিনাইলসহ যাবতীয় সব কিছু আমরা প্রস্তুত রেখেছি। এগুলো সব আমরা নগরে ছিটিয়ে দিবো, যেনো দুর্গন্ধ মুক্ত শহর করতে পারি।’

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সচেতন হয়ে নিয়মকানুন মানলেই; সঠিকভাবে পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে।

/এআই

Exit mobile version