Site icon Jamuna Television

রোহিতের সঙ্গে কেন উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল, জানালেন সাকিব

১০৬ রানের সংগ্রহ। উইকেট যেমনই হোক, এতো অল্প সংগ্রহ নিয়ে জেতা খুব কঠিন। বাংলাদেশেরও টি-টোয়েন্টিতে এর আগে এতো কম রান ডিফেন্ড করার রেকর্ড নেই। তাই এই রান ডিফেন্ড করতে চাইলে বোলিং-ফিল্ডিং হতে হবে ক্ষুরধার আর নিখুঁত। বোলারদের শারীরিক ভাষাও হতে হবে ইতিবাচক। তানজিম সাকিবের ক্ষেত্রে সেটাই কি দেখা গেল?

নেপালের ইনিংস চলছে। স্ট্রাইকে নেপাল অধিনায়ক রোহিত পৌড়েল। তৃতীয় ওভারের শেষ বল করলেন সেই ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করা জুনিয়র সাকিব। তানজিমের বল ডিফেন্ড করলেন রোহিত। এরপরই রোহিতের সঙ্গে এক দফা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে দেখা গেলো বাংলাদেশের পেসারকে।

পরিস্থিতি শান্ত করতে হস্তক্ষেপ করতে ছুটে আসেন নন-স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটার আসিফ শেখ। ছুটে আসেন আম্পায়ার স্যাম নোগাসকিও। দুজনের মধ্যে এমন ‘কথা-ঝড়’-এর কারণ তখনও বোঝা যাচ্ছিল না। পরে ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে সাংবাদিকদের রোহিতের দিকে তেড়ে যাওয়ার কারণটা জানালেন তানজিম।

মিক্সড জোনে তানজিম বলেন, এটা পরিকল্পনা করে করিনি। সিচুয়েশনে হয়ে গেছে। সে আমার দিকে আক্রমণাত্মকভাবে তাকিয়ে ছিল, যেটা আমার পছন্দ হয়নি। আমি এগিয়ে তাকে (রোহিত) বলেছি– ‘তুমি আমার দিকে তাকিয়ে আছ কেন?’ আমি জায়গামতো বোলিং করার চেষ্টা করেছি। আক্রমণাত্মক মানসিকতা এমনিতেই চলে আসে। এটা পরিকল্পনা করে করা হয় না।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ডট বল দেয়ার রেকর্ড এখন তানজিম সাকিবের। ছবি: বিসিবি

তবে তানজিম এটাও জানান, এই রান ডিফেন্ড করা সম্ভব, আমাদের মাথায় এই চিন্তাই ছিল। আমরা দেখেছি, উইকেট বোলারদের জন্য সহায়ক ছিল। স্পিনাররা টার্ন পেয়েছে, পেসাররা বাড়তি বাউন্স পেয়েছে। এই রান (১০৬) ডিফেন্ড করতে পারব, আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল।

বাংলাদেশের হয়ে এটাই তার করা সেরা স্পেল কিনা, এমন প্রশ্নে তানজিম বলেন, আমারও সেটা মনে হয়। এই স্পেলটা করতে আমি খুব উপভোগ করেছি। নেপালের পেসাররাও ভালো করেছে, আমরা সেটা লক্ষ্য করেছি। তারা অতিরিক্ত বাউন্স পেয়েছে, আমরা সেটা নিয়ে কথা বলছিলাম। আমরা উইকেটে জোরে বল করতে চেয়েছি। এরপর দেখতে চেয়েছি, কী হয়।

জুনিয়র সাকিবের দর্শন হলো, ক্রিকেটে আক্রমণই শেষ কথা। তিনি বলেন, যেকোনো মুহূর্তে আক্রমণাত্মক থাকতে হবে। ‘অ্যাটাক ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স’। আমি ওকে (রোহিতকে) বলছিলাম, কাজটা সহজ নয়। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা ম্যাচটা জিতেছি।

/এএম

Exit mobile version